দুর্নীতি মামলায় জামিনের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ হাইকোর্টের

দুর্নীতি মামলায় জামিনের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ হাইকোর্টের দুর্নীতির মামলায় জামিন দেয়ার ক্ষেত্রে বিচারকদের আরো সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের ১৬৫ কোটি টাকা অর্থপাচার মামলায় আটকের তিনঘণ্টার মধ্যে জামিন হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ পরামর্শ দেন উচ্চ আদালত। বেঞ্চের তিন বিচারপতির মধ্যে দুইজন বিচারপতি দুর্নীতির মামলায় জামিন দেয়ার এখতিয়ার ম্যাজিস্ট্রেটের রয়েছে বলে রায় দিলেও ভিন্নমত পোষণ করেছেন অপর বিচারপতি। ১৬৫ কোটি টাকা অর্থপাচারের মামলায় গ্রেফতারের তিনঘণ্টার মধ্যে জামিনে বের হয়ে যান এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল হক'সহ দুই আসামি। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে নড়ে চড়ে বসেন উচ্চ আদালত। প্রশ্ন উঠে বিচারকের জামিন দেয়ার এখতিয়ার নিয়ে। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের একটি বৃহত্তর বেঞ্চের দুই বিচারপতি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের জামিন দেয়ার এখতিয়ার রয়েছে বলে আদেশ দিলেও,আর্থিক অপরাধের মতো দুর্নীতির মামলায় জামিন দেয়ার ক্ষেত্রে বিচারকদের আরো সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের আইনজীবী আরশাদুর রউফ বলেন, 'স্পেশ্যাল কোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কগনাইজেনস নেওয়ার আগ পর্যন্ত এটা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট যেহেতু থাকবে, তাই ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের জামিন দেওয়ার ক্ষমতা রইল। যখন এটার চার্জশিট হবে তখন এটি চলে যাবে স্পেশ্যাল কোর্টে। স্পেশ্যাল কোর্ট তখন এটি জামিন দিবে।' তবে দুর্নীতির মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারকদের জামিন দেয়ার এখতিয়ার নেই বলে আলাদা রায় দিয়েছেন বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি। একই সঙ্গে এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ দুই আসামির জামিন বাতিল করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, 'সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ম্যানি লন্ডারিং মামলায় জামিন দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তবে জামিন যে দিবে তাকে দেখতে হবে গুণাগুণের ভিত্তিতে।' তিনি বলেন, 'বিচার বিভাগ, সংসদ আমরা সবাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে সতর্ক।' আইনজীবীরা বলছেন, যেহেতু তিন সদস্যের বেঞ্চের মধ্যে সিনিয়র দুই বিচারপতি একই মতো দিয়েছেন সেহেতু এই দুইজনের রায়টিই গ্রহণযোগ্য হবে।