Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ‘অসুস্থ’ হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক




‘অসুস্থ’ হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক স্কুল-কলেজেই দিনের অনেকটা সময় পার করে শিশু-কিশোররা। কিন্তু শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের এই সময়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল হওয়া শিক্ষকদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। প্রতিযোগিতার বাজারে সক্ষমতার তুলনায় অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া শিক্ষকদেরও মানসিক চাপে ফেলছে। তাই তাদেরও কাউন্সিলিং করা প্রয়োজন বলে মনে করেন মনোবিজ্ঞানী ও স্কুল সংশ্লিষ্টরা। বয়সের তারতম্যে অবচেতনভাবে বা অজ্ঞতাবশত ভুল যে কেউ করতেই পারে। তবে শিশু থেকে কিশোর বয়স পর্যন্ত ভালোমন্দ বুঝার ক্ষমতা থাকে কম। তখন ভুল করার সম্ভাবনাও থাকে বেশি। আর এই সময়েই তৈরি হয় ব্যক্তিত্ব, মানবিকতা আর মূল্যবোধ। তাই এই সময়টিকে সংবেদনশীলতার সাথে পরিচালিত করা জরুরি। তাদের এই সময়ের বেশিরভাগটাই কাটে স্কুল ও কলেজে। পাশাপাশি বাণিজ্যিকীকরণের কারণে অনেক শিক্ষক হারান তাদের সংবেদনশীলতা। এই অবস্থায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভিন্ন প্রেক্ষাপটে প্রয়োজন কাউন্সিলিং। কিন্তু সরকারি বাধ্যবাধকতা না থাকায় কাউন্সেলর নিয়োগ দেয়না বেশিরভাগ স্কুল। লালমাটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, যেসকল স্কুলে ধারণক্ষমতার চেয়ে শিক্ষার্থী বেশি থাকে সেসকল স্কুলে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক এই সমস্যা দেখা যায় বেশি। কার্ডিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ শেবা তাসমিন হক বলেন, কোন কোন বিষয় নিয়ে একজন শিক্ষার্থীর মনে ক্ষোভ জমা হয় একজন শিক্ষকের সে ব্যাপারে খোঁজ-খবর করা উচিত। এদিকে 'প্রতিযোগিতার বাজারের' নীতি বাস্তবায়নে ভিন্ন ভিন্ন বয়সে যে সংবেদনশীলতা নিয়ে পাঠদান প্রয়োজন, তা ক্লাসরুমে বা স্কুল কলেজের পরিবেশে নেই বলে মনে করেন ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাদান পদ্ধতি এক ধরণের বাজার সম্পর্ক হয়ে গেছে। এটা অনেকটা এমন যে, যে সক্ষম সে কিনে নেবে। আর মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, শিশু কিশোরদের মনোভাব বুঝতে অভিভাবকের সম্যক জ্ঞান ও শিক্ষকদের মনস্তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। মনোবিজ্ঞানী ডা. মেজর আব্দুল ওহাব বলেন, টিচার্স ট্রেইনিং ইনস্টিটিউশনে যদি শিক্ষকদেরকে শিক্ষার্থীদের সাথে কীভাবে আচরণ করা উচিত তা শেখানো হয় তাহলে এই ব্যাপারগুলোর উন্নতি ঘটবে। পাশাপাশি স্কুলগুলোতে সৃজনশীলতা বিকাশে খেলাধুলা, বিনোদন বা সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply