যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে ‘সুপরিকল্পিতভাবে’ আট ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ মঙ্গলবার স্বামী-স্ত্রী ও তাদের দুই ছেলেকে গ্রেফতার করেছে। নিহত সাত ব্যক্তি একই পরিবারের সদস্য এবং একজন ওই পরিবারের এক সদস্যের বাগদত্তা।
তৃতীয় জর্জ ওয়াগনার, আঞ্জেলা ওয়াগনার এবং তাদের ছেলে চতুর্থ জর্জ ওয়াগনার ও অ্যাডওয়ার্ড ওয়াগনারের বিরুদ্ধে সিনসিনাটি থেকে ৮০ মাইল পূর্বে অবস্থিত পীবলস গ্রামে ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে এই হত্যাযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর এএফপি’র।
ওহাইও’র এটর্নি জেনারেল মাইক ডি ওয়াইন বলেন, একটি শিশুর অভিভাবকত্ব নিয়ে এই নির্মম ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।
পুলিশ তিনটি পৃথক বাড়ি থেকে সাতটি এবং দূরের এক স্থান থেকে অষ্টম লাশ উদ্ধার করে।
এদের প্রত্যেককে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। এদের কয়েকজনকে ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি করা হয়।
নিহত পরিবারের সাত সদস্য হচ্ছেন- ক্রিস্টোফার রোডেন সিনিয়র (৪০), ক্রিস্টোফার রোডেন জুনিয়র (১৬), ক্লারেন্স ফ্রাঙ্কি রোডেন (২০), ডানা রোডেন (৩৭), গরি রোডেন (৩৮), হন্না রোডেন (১৯) ও কেনেথ রোডেন (৪৪)।
নিহত অপর নারী ২০ বছর বয়সী হান্না হাজেল গিলি। তিনি ক্লারেন্স রোডেনের বাগদত্তা ছিলেন।
হামলাকারীরা তিন শিশুকে হত্যা করেনি। এদের মধ্যে নবজাতক শিশুটিকে তার মৃত মায়ের পাশে পাওয়া যায়। অপর দুই শিশুর মধ্যে একজনের ছয়মাস ও আরেকজনের তিন বছর বয়স।
তদন্ত কর্মকর্তারা এই হত্যাযজ্ঞের জন্য ওয়াগনার পরিবারের সদস্যদের অভিযুক্ত করেছে। তাদের ফোন কলে আড়ি পেতে ও নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এই অভিযোগ আনা হয়।
পাইক কাউন্টির শেরিফ চার্লেস রিডার বলেন, ‘তারা এই হত্যাযজ্ঞটি খুব দ্রুত, ঠান্ডা মাথা, ধীরে সুস্থ্যে ও সতর্কতার সাথে করেছেন। তবে তারা ধরা না পড়ার মতো যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন না।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারা সাইলেন্সারের অংশসহ তাদের অপরাধের অনেক প্রমাণ রেখে গেছেন।’
সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের মৃত্যুদ- হতে পারে।
পুলিশ এঞ্জেলা ওয়াগনারে মা রিটা নিউকোম্ব ও তৃতীয় জর্জ ওয়াগনারের মা ফ্রেডেরিকা ওয়াগনারকেও গ্রেফতার করেছে।
তাদের বিরুদ্ধে এই হত্যা পরিকল্পনায় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
No comments: