শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেছিলেন ২০১৭
নভেম্বরে। কিন্তু সম্প্রতি ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং করার সময় দেখা যায় দৌড়লেই
হচ্ছে রক্তবমি। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকেরা জানান ফুসফুসে মারাত্মক কোনও
সংক্রমণ থেকেই এই অবস্থা। এমনকি ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যে পুনরায় ঘটবে না,
সেবিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি তারা। ফুসফুসে এই রহস্য সংক্রমণের
কারণেই পাকাপাকিভাবে বাইশ গজকে বিদায় জানালেন অজি ফাস্ট বোলার জন হেস্টিংস।
কয়েক বছর আগেও ঘটেছিল একই ঘটনা। তখন
বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেননি হেস্টিংস। তারপরও চুটিয়ে উপভোগ করছিলেন
ক্রিকেট। কিন্তু দ্বিতীয়বার একই ঘটনা ঘটায় হেস্টিংস ছুটে যান চিকিৎসকের
কাছে। এপ্রসঙ্গে বছর তেত্রিশের অজি পেসার জানান, ‘ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যে
পুনরায় ঘটবে না সেবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি চিকিৎসকেরা।’
কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই ক্রিকেটকে এমনভাবে
বিদায় জানানো প্রসঙ্গে হেস্টিংস বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের পিছনে একটা
খারাপ দিক লুকিয়ে ছিল। সেটা থেকে যখন কোনও ক্ষতি বা মাঠে রক্তক্ষরণের
সম্ভাবনা থেকে যায়, তখন খেলার মাঠকে এভাবেই বিদায় জানাতে হয়।’ চিকিৎসকেরা
তাঁকে মাঠে নামার বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু না বলায় খুশি হতে পারেননি
হেস্টিংস। গত পাঁচ-ছয় মাস ভীষণ উদ্বেগের মধ্যে দিয়ে কেটেছে। তাই ভবিষ্যতের
কথা চিন্তা করেই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে জানান অস্ট্রেলিয়ার হয়ে
একটি টেস্ট, ২৯টি ওয়ান ডে এবং ন’টি টি২০ খেলা এই ক্রিকেটার।
এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় ক্রিকেট লিগ
বিগ ব্যাশে টানা সাত মরশুমে বেলবোর্ন স্টারের হয়ে খেলেছেন তিনি। আগামী
মরশুমে সিডনি সিক্সার্সের হয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন হেস্টিংস। এছাড়া
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে চেন্নাই সুপার কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়েও
খেলতে দেখে গিয়েছে এই অজি পেসারকে। ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে স্ত্রী’র সঙ্গে
ব্যবসাতেই মনোনিবেশ করতে চান জন।
No comments: