Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » স্বাধীনতার ৪৮ বছরে এসেও মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রস্তুত করা সম্ভব হয় নি






বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৮ বছরে এসেও মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা সম্ভব হয় নি।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার টানা প্রায় ১০ বছর ক্ষমতায় থাকলেও সরকারী গেজেটভুক্ত  ২৫ হাজার ৫০০  ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রেখেই এবারের  মেয়াদ শেষ করতে যাচ্ছে। এদের মধ্যে  আওয়ামী লীগ আমলে (২০০৮ থেকে ২০১৪) গেজেটভুক্ত হয়েছে সাড়ে ১১ হাজার, যার প্রায় সবই ভুয়া  বলে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশের একটি বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিক।

এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ার পরও পাঁচ সচিব ও বিভিন্ন সংস্থার প্রধানসহ প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, গত  ৪৭ বছরে ছয়বার মুক্তিযোদ্ধা তালিকা সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার বয়স, সংজ্ঞা ও মানদণ্ড ১১ বার পাল্টেছে। সর্বশেষ এ বছরের ১৬ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার বয়সসীমা ছয় মাস কমানো হয়। অর্থাৎ ১৯৭১ সালে যাদের বয়স সাড়ে ১২ বছর ছিল এমন কিশোরকেও মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি  দিয়ে গেজেটভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ।

আজ বিভাগীয় মহানগর রাজশাহীতে মুক্তিযোদ্ধাদের এক সমাবেশ শেষে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক জনাব মিজানুর রহমান রেডিও তেহরানকে বলেন, আজকের সমাবেশে উপস্থিত হয়ে অনেকে জানিয়েছেন তারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেও সরকারী গেজেটে তাদের নাম উঠে নি। অমরা চাইব একজন সঠিক মুক্তিযোদ্ধাও যেন তালিকার বাইরে না থাকেন। তাতে যতই দেরি হোক না কেন।

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত হবার পর সরকারের ‌উচ্চপদে থাকা  ব্যক্তিদের বিরুদ্ধ  কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে  মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক  আরো জানান, এটা সরকারের বিষয়। তবে আমাদের সুপারিশ থাকবে এদের শুধু সনদ  বাতিল নয়, এরা যে সব অন্যায় সুবিধা নিয়েছে সে ব্যাপারেও যেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। 



মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী  আ ক ম মোজাম্মেল হক 

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী  আ ক ম মোজাম্মেল হক  বিভিন্ন সময় জানিয়েছেন, বিএনপির আমলে প্রায় ২২ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছে। আর বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ আমলে মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩৩ হাজার।  ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকা ভুক্ত হয়েছে যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দূরে থাক, তাদের চিহ্নিতই করতে পারেনি সরকার।

সরকারের হিসাবে দেশে এখন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৪৩৮। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাদত হুসাইনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে অভিযোগ করে, বিএনপির আমলে ৭০ হাজারের বেশি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছেন। এরপর শেখ হাসিনা সরকার নতুন করে আরও সাড়ে ১১ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন,  ‘এটা ঠিক, আমরা সব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করতে পারিনি বা তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারিনি। তবে আমরা কোনো অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা বানাইনি।’ তিনি স্বীকার করেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা করতে না পারা আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতা। কিন্তু বিভিন্ন জেলা কমিটি থেকে আসা তালিকায় ভুয়াদের উপস্থিতি বেশি বলে আর এগোনো যায়নি।


শাহরিয়ার কবির
এ বিষয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির  বলেছেন, আওয়ামী লীগ টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই তালিকা চূড়ান্ত করতে না পারাটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এটা সরকারের ব্যর্থতাও বলা যায়।

সরকারের  সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন,  ইতোমধ্যে গেজেটভুক্ত  চার হাজারের মতো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বাতিল করা হয়েছে। তবে তাদের  বেশির ভাগ তাদের পক্ষে আদালতের আদেশ এনেছেন।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, ফৌজদারি আইনের ৪১৬ ধারা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দিলে তা অপরাধ। এ ছাড়া মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য তিন বছর জেল এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ দেখিয়ে ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ–সুবিধা নিলে সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply