চুয়াডাঙ্গা শহরের ইম্প্যাক্ট চোখ হারানোদের ১০ লাখ করে দিতে আদালতের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গা শহরের ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা নিতে এসে চোখ হারানো ১৭ জনের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ অর্থের পাঁচ লাখ টাকা করে দেবে মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টার এবং পাঁচ লাখ টাকা করে দেবে আইরিশ কোম্পানি।
আজ (রোববার) এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অমিত দাস গুপ্ত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামাল হোসেন। ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। অপারেশনে যে কোম্পানির ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে সেই কোম্পানির (আইরিশ) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম।
রায়ের পরে অমিত দাস গুপ্ত সাংবাদিকদের জানান, রায়ে ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল ১৭ জনকে ৫ লাখ টাকা করে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে প্রত্যেকের সারা জীবনের চিকিৎসার ব্যয়ভার ইমপ্যাক্ট কর্তৃপক্ষ নিজেদের হাসপাতালে অথবা ভালো চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে নিয়ে বহন করবে।
তিনি জানান, আইরিশ কোম্পানি যারা রেজিস্ট্রেশনবিহীন একটি ওষুধ সরবরাহ করেছিলো তাদের ৫ লাখ টাকা করে প্রত্যেক রোগীকে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অমিত দাস গুপ্ত বলেন, ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি আদালত রায়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবহেলার ঘটনা ঘটলে তার পরর্যবেক্ষণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। কমিটিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, আইন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা থাকবেন।
একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চক্ষু শিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন’! শীর্ষক শিরোনামে ২৯ মার্চ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত। এ রিটের পর ১ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন
চুয়াডাঙ্গা শহরের ইম্প্যাক্ট চোখ হারানোদের ১০ লাখ করে দিতে আদালতের নির্দেশ
Tag: others
No comments: