সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পাশাপাশি মাদক নিয়ন্ত্রণে এবার ভিন্ন পন্থা নিয়ে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রামের পুলিশ প্রশাসন। প্রতি শুক্রবার নগরীর মসজিদগুলোতে গিয়ে জুমার নামাজের আগে জনগণের সহায়তা চেয়ে বক্তব্য রাখছেন থানার ওসিরা। বিশেষ করে মাদক ব্যবসায়ী, জঙ্গি এবং সন্ত্রাসীদের গোপন তথ্য চেয়ে তারা মসজিদে আসা মুসল্লিদের সহযোগিতা চাচ্ছেন। পাশাপাশি ইসলামী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকেও জুমার নামাজের খুতবার আগে এ বিষয়ে বক্তব্য রাখার জন্য ইমামদের কাছে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে, সে সাথে শুরু হয়েছে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান। কিন্তু তারপরও নানা জটিলতার কারণে জঙ্গিবাদ কিংবা মাদক, কোনটাই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জঙ্গি এবং মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য সংগ্রহের জন্য ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে মহানগরী পুলিশ প্রশাসন। গত শুক্রবার থেকে নগরীর ১৬ থানার ওসি বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজের আগে মুসল্লিদের সহায়তা চেয়ে বক্তব্য রাখছেন।
সিএমপি কোতোয়ালী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন বলেন, জঙ্গিবাদ ও মাদকের রিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন ও সহযোগীতা করার জন্য আমরা প্রতিটা মসজিদে যাচ্ছি।'
জামে মসজিদগুলোতে প্রতি শুক্রবার ইমামরা জুমার নামাজের আগে খুতবা পাঠ করেন। আর তার আগে পুলিশ কর্মকর্তার সমাজ সচেতনমূলক কথাগুলোও তারা মনোযোগ সহকারে শুনছেন। মুসল্লি থেকে শুরু করে মসজিদের ইমামরাও পুলিশের এসব বক্তব্যকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছেন।
একজন মুসল্লি বলেন, 'সচেতন হলে আমাদের দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল হয়ে যাবে।'
এদিকে মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের সচেতন করতে খুতবার আগে অন্তত ৫ মিনিট বক্তব্য রাখার জন্য ইমামদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে ইসলামী ফাউন্ডেশন।
চট্টগ্রাম বিভাগ ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালক আবুল হায়াত মুহাম্মদ তারেক বলেন, 'সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদক বিষয়ে ইমাম সাহেবারা কমপক্ষে পাঁচ মিনিট বক্তব্য রাখছেন।'
নগরীর ১৬টি থানায় ছোট-বড় মসজিদ রয়েছে ৫ হাজারের বেশি। যেখানে প্রতি শুক্রবার ১৫ লাখের বেশি মুসল্লি জুমার নামাজ আদায় করেন।
খুতবায় মাদক নির্মূলে সহায়তা চেয়ে বক্তব্য রাখছেন থানার ওসিরা
Tag: others
No comments: