Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » পরকীয়ার নাটক সাজিয়ে সালিশি বৈঠকে গৃহবধূকে মারধর!






পরকীয়ার নাটক সাজিয়ে সামাজিক বিচারের নামে জনসম্মুখে আসমা আক্তার নামে চার সন্তানের জননী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে পিটিয়ে পুরো শরীর থেঁতলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের বেকিসাত পাড়া গ্রামে।
এ ঘটনায় আসমার বোন নারগিস আক্তার বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলায় অভিযুক্ত আসামি প্রবাসী কবিরের ভাই সাইফুল ও একই গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে বাবুলকে আটক করে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, একই গ্রামের মোবারকের পুত্র মিন্টু, বারেক মিয়ার পুত্র মোস্তাক ও নির্যাতিতা আসমার জা শিল্পী। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রবাসী কবির হোসেনের স্ত্রী আসমা আক্তার ৪ সন্তানের জননী। তার এক পুত্র হাফেজ। আরেকজন মাদ্রাসায় পড়ে। বাকি দুজনের একজন কেজিতে পরে। আরেকজনের বয়স চার বছর। গত ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে ‘পরকিয়ায় জড়িত’ অভিযোগে পার্শ্ববর্তী বারপাড়া গ্রামের আলম নামে এক ব্যক্তিকে ডেকে এনে জোর করে আসমার ঘরে আটকে রাখা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, আটক দু’জনের উপর রাতভর দফায় দফায় নির্যাতন চালিয়েছেন প্রবাসী কবিরের ভাই সাইফুল, বাবুল, মিন্টু, মোস্তাক ও অপর এক ভাই খোকনের স্ত্রী শিল্পী। পরদিন সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন তালুকদারের উপস্থিতিতে সামাজিক বিচারের আয়োজন করা হয়। এসময় সালিশে প্রতিবেশী মিন্টু মাতব্বরদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লাঠি নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় আসমার উপর নির্যাতন চালানো হয়। এছাড়াও বেধড়ক পেটানো হয় আটক আলমকেও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন তালুকদার বলেন, বিষয়টা তাদের পারিবারিক ষড়যন্ত্রের অংশ। কবিরের চার ভাই ও এক ভাবি মিলে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

মনির তালুকদার বলেন, সকালে বৈঠক শুরুর পর হঠাৎ করেই কবিরের এক ভাই এসে আসমাকে মারধরের নির্দেশ দিতে থাকে। পরে আমার ইউনিয়নের তিনজন সদস্য ও আশপাশের লোকজন মিলে আহত দু’জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠায় এবং আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেই।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, এ ঘটনার প্রধান আসামি সাইফুলসহ অপর আসামি বাবুলকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অচিরেই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply