Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » 'বিএনপি জনগণের সমর্থন না পেয়ে আ. লীগের ওপর দোষ চাপাচ্ছে'-- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা





সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণের কাছে গিয়ে সাড়া না পেয়ে নিজেরাই নিজেদের ওপর হামলা করে, বিএনপি দোষারোপের রাজনীতি শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারকে বহির্বিশ্বে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তারা এসব করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি এ কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপির হাতে দেশের সাধারণ মানুষ নিরাপদ নয়।

 শোকের মাস আগস্টে দলে কর্মসূচি নির্ধারণ করতে সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় শেখ হাসিনা নির্বাচন নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচারের করছে অভিযোগ করে বলেন, জনগণের সমর্থন না পেয়ে তারা আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।

এছাড়া দুর্নীতি আর মানুষ হত্যা বিএনপি চরিত্র উল্লেখ্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দোষী সব্স্ত হওয়ায় বিএনপি' নেত্রীর জেল হয়েছে। এখানে সরকারে কিছু করার নেই।

আওয়ামী লীগ সরকারই দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।



  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, বিএনপি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনগণের কাছে ভোট চেয়ে ব্যর্থ হয়ে ‘ব্লেম গেমে’ নেমে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) যখন দেখলো যে, জনগণের কাছে গিয়ে সাড়া পাচ্ছে না, তখন একটা ব্লেম গেম শুরু করলো এবং হাতেনাতেই ধরা পড়লো।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ ছিল, তাই তারা তদন্ত করে বের করতে চাইল, কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে’।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে ১৭ জুলাই রাজশাহীর সাগরপাড়া এলাকায় রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর নির্বাচনী পথসভায় বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে রাহশাহী জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুর গ্রেফতারের প্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সন্ধ্যায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা একথা বলেন।
রাজশাহীর পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনের পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই বিএনপি নেতৃবৃন্দ পরস্পর যোগসাজসে এই কান্ড ঘটিয়েছে।
জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুর একটি অডিও পুলিশের হাতে এসেছে (এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়), যেখানে তিনি বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর সঙ্গে কথোপকথনে ঘটনার জন্য নিজ দলের দুই নেতাকে দায়ী করেন। এরপরই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে বলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইখতিয়ার আলম জানান।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, একটা জিনিস আপনারা আজকে লক্ষ্য করেছেন যে, রাজশাহী, সিলেট এবং বরিশালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চলছে।
এরমধ্যেই তারা (বিএনপি) অভিযোগ করলো যে, তাদের মিছিলে বোমা হামলার- এর প্রেক্ষিতে আমরা যখন নির্দেশ দিলাম যে, হামলাকারী যে দলেরই হোক, যেই হোক তাকে যেন গ্রেফতার করা হয়। কারণ এটা আমরা চাই না। সবাই স্বাধীনভাবে তাদের নির্বাচন প্রচার চালাবে। আমরা সেই পরিবেশ কিন্তু বজায় রেখেছি।
তিনি বিএনপি’র শাসনামলের উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি’র শাসনামলে আমরা দেখেছি যে, কিভাবে আমাদের নির্বাচনের সময় বাধা দেওয়া হত, আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার, জুলুম করা হত। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমরা এটাও দেখেছি যে, তারা (বিএনপি) ঠান্ডা মাথায় মানুষ খুন করতে পারে। আগুনে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা- সেটাও আমরা দেখেছি।’
এজন্যই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটতে পারে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি তাঁর নির্দেশ ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপি) মিছিলে তিনটা ককটেল ফুটলো, পরবর্তীতে দেখা গেল তাদের নিজেদেরই ভাষায় বেরিয়ে আসলো, এটা নিজেরাই করেছে। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করার জন্য।
সরকার প্রধান বলেন, তারাই ঘটনাটি ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দোষারোপ করে এবং সেটাকে ব্যাপকভাবে প্রচার করে আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করেছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি অভিযোগ করেন-‘ বিএনপি’র এই অভ্যাসটা আছে- নিজেরাই বোমা মারবে, নিজেরাই গাড়ি ভাঙ্গবে, তারপর অন্যের নাম দেবে। এই মিথ্যাচারে বিএনপি’র সঙ্গে কেউ পারবে না।’ ‘তারা একটা নাটক সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়- এটাই তাদের চরিত্র’, যোগ করেন তিনি ।
তিনি ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি’র সন্ত্রাস-নৈরাজ্য এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের ওপর দমন-পীড়ন, বোমা ও গ্রেনেড হামলাসহ সাবেক অর্থমন্ত্রী এ এসএম কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টার এবং আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইমাম হত্যার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার কারাবাসের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, উনি জেলখানায় খান, দান বহাল তবিয়তে থাকেন। আর মামলায় হাজিরা দেয়ার সময়েই অস্স্থু হয়ে যান। এ আরেক নাটক শুরু হয়েছে। যখনই কোর্টের তারিখ পড়ে তখনই তিনি অসুস্থ। নাইকোর দুর্নীতি মামলায় এফবিআইতো বসেই আছে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান বলেন, এফবিআইয়ের অফিসার কিনে নিয়ে আমেরিকায় তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার পরিবল্পনাও এফবিআইয়ের তদন্তে ধরা পড়েছে। খালেদা জিয়াকে তাঁর সরকার নয়, বরং এতিমের টাকা আত্মস্যাৎ করাতেই জেলে যেতে হয়েছে বলেও পুনরোল্লেখ করেন তিনি।
তাঁর সরকারের সময়ে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কাছে তাই খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন করে লাভ নাই। আমরা ছাড়তে পারবো না, যতক্ষণ না আদালত তাকে ছাড়ে।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ১০-১১ বছর আদালতে মামলা চললো, তাদের বাঘা বাঘা আইনজীবীরা সব ব্যর্থ হয়ে গেল এটা প্রমাণ করতে যে, খালেদা জিয়া অর্থ আত্মস্যাৎ করেন নাই। এখন আমাদের দোষ দিয়ে লাভ কি?
প্রধানমন্ত্রী এদিনের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আরো বলেন, সাংগঠনিক সম্পাদকদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে আগামী নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করতে হবে। আর ২০১৪ সালের যে নির্বাচনী ইশতেহারের কতটুকু আমরা বাস্তবায়ন করতে পারলাম সেটা পর্যালোচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, তবে আমি এটুকু বলতে পারি, যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলাম তার চাইতে বেশি কাজ আমরা করেছি। আর আগামীতে বাংলাদেশটাকে আমরা কিভাবে দেখতে চাই তার প্রতিফলন থাকবে আগামী ইশতেহারে।
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে পালনের তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করেন। আর ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স¦াধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত হবে। এজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়ার তাগিদ দেন তিনি।







«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply