Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » কেমন ছিলেন মহানায়ক? (ভিডিও)






নাতি হওয়ার খবর শুনে "উত্তম খবর" বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন তার দাদা মশাই। সেই থেকে ডাক নাম উত্তম কুমার। তবে স্কুল-কলেজের নাম ছিল অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। বেসরকারি চাকরির ফাঁকে অভিনয় করতে গিয়ে অরুণ থেকে বনে যান মহা-নায়ক উত্তম কুমার। বাংলা চলচ্চিত্র ইতিহাসে যার নাম চিরস্থায়ী। যাকে ঘিরে আজও বাঙালি হৃদয় কৌতূহলী। আজ সেই মহানায়ক উত্তম কুমারের ৩৮তম প্রয়াণ দিবস।

 উত্তর কলকাতার বনেদী হিন্দুদের বাস এই আহারিটোলায়। একই নামের এই স্ট্রিটেরই ৫১ নম্বর বাড়িটি হচ্ছে মহানায়ক উত্তম কুমারের মামা বাড়ি।

শৈশবের পর কৈশোর এবং যৌবন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় ৫০ বছরের স্মৃতি দেয়ালে দেয়ালে খুঁজে পাচ্ছি।

মহানায়কের চার মামার কেউ আর বেঁচে নেই। তবে একমাত্র বেঁচে আছেন সেজো-মামি মুকুল মুখোপাধ্যায়। মামি বললে ভুল হবে- সম্পর্কে উত্তম কুমারের বান্ধবীও ছিলেন।

অরুণ কুমার থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার- খুব কাছ থেকে দেখছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।

সেজোমামা রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী ও উত্তম কুমারের বান্ধবী মুকুল মুখোপাধ্যায় বলেন, 'নাটকের দিকে বরাবরই একটা ঝোঁক ছিল। শ্যামলি থিয়েটারে খুব নাম হল তখন। তার পরে অনেক বই করেছে। মনের অনেক জোর ছিল। কখনও ভেঙ্গে পড়েনি। আমাদের সঙ্গে ব্যবহারের কোন পরিবর্তন হয়নি। যেমন ছিলেন প্রথমে শেষেও ছিল তেমন।'



অরুণ কুমার থেকে উত্তম কুমার হওয়ার খবর প্রায় সবারই জানা আছে। কিন্তু উত্তম কুমার এই ডাক নামের পেছনের ইতিহাসও কিন্তু বিরল

বয়সের ব্যবধান থাকলেও ভাইদের নিয়ে দারুণ মজা করতেন উত্তম কুমার। দুর্গা পুজোয় এক ঘণ্টার জন্য হলেও মামাতো ভাইদের সঙ্গে সময় কাটাতে আসতেন, পাড়ার তেলে ভাজার দোকানে গিয়ে তেলে ভাজা খেতেন তিনি। আর পছন্দ করতেন ট্যাংরা-কই মাছও।

উত্তম কুমারের মামাতো ভাই সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় বলেন, 'এখানে যখন আসতো তখন তেলে ভাজা খেতে খুব পছন্দ করতো। সন্দেশ পছন্দ করতো। টেংরা মাছ, কই মাছ খুব ভালবাসতো।'

১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই মৃত্যুর খবরটা যখন শুনলেন এই স্বজনরা, কেমন ছিল ওই মুহূর্তটি

উত্তম কুমারের মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী সুবর্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, 'ভোরবেলা আমার শ্বশুর মশাই দরজাটা নক করে এসে বলেছিল, উত্তম চলে গেল। উনি এমনভাবে কথাটা বললেন, যেন আমার গায়ে কাঁটা দিল।'

মহানায়ক উত্তম কুমারের স্মৃতিতে যেমন আহারিটোলায় আবক্ষ-মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। তেমনই মূর্তি রয়েছে এই টালিগঞ্জের ব্যস্ত এলাকায়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত টালিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বাংলার মহানায়ক।







«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply