গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকের জন্য স্ত্রী মুন্নিকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং দুইদিন ঘরে আটকে রেখেছে স্বামী মো. শহিদুল্লাহ।
দাবিকৃত যৌতুকের ৪ লাখ টাকা দিতে অপরাগতা জানালে গত ১৬ জুলাই সোমবার স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায় শহিদুল্লাহ। ১৮ জুলাই বুধবার কৌশলে মুন্নি স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে বাপের বাড়ি বক্তারপুর আসে। পরে তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
১৯ জুলাই মুন্নি বাদী হয়ে স্বামী মো. শহিদুল্লাহ, শ্বশুর আতিকুল্লাহ ও শাশুড়ি সুফিয়া বেগমকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মো. শাহিনুর ইসলাম।
যৌতুকের বিষয় অস্বীকার করে স্বামী শহিদুল্লাহ বলেন, আমি স্ত্রীকে মারধর করেছি। তাকে পানি আনতে বললে সে পানি আনেনি। আমাকে খারাপ ভাষায় বকাঝকা করে। তা সহ্য করতে না পেরে তাকে মারধর করেছি। তবে কোনও যৌতুক চাইনি।
নির্যাতিত পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত আট বছর আগে কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের পুনসই গ্রামের মো. আতিকুল্লাহর ছেলে মো. শহিদুল্লাহর সঙ্গে বক্তারপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের আজিজুল হকের মেয়ে মোসা. মুন্নি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের দুই বছর অতিবাহিত হলে শ্বশুর-শাশুড়ির ইন্দনে স্বামী যৌতুক চেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে স্বামী শহিদুল্লাহ। এর মধ্যে তাদের ঘরে মো. মৃদুল ও সিমা নামে দুই ছেলেমেয়ে জন্ম নেয়।
নির্যাতিত স্ত্রী মুন্নি বলেন, বিয়ের পর ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাপের বাড়ি থেকে নগদ দুই লাখ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস এনে স্বামীকে দিই। এরমধ্যে সে চার লাখ টাকা বাপের বাড়ি থেকে এনে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু টাকা এনে দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে শহিদুল্লাহ লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পেটাতে থাকে। পরে দুই দিন ঘরে আটকিয়ে রাখে। ১৮ জুলাই কৌশলে স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে বাপের বাড়ি বক্তারপুর চলে এলে রাতে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই।
কালীগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন
Tag: others
No comments: