বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া সরাসরি বিমান চায় ব্যবসায়ীরা

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর নেতৃবৃন্দ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে আকাশপথে সরাসরি ঢাকা ও জাকার্তার মধ্যে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহনে বিমান যোগাযোগ চালু করার জন্য ইন্দোনেশিয়া সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে।

সোমবার ঢাকা চেম্বারে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোমারনোর সঙ্গে ডিসিসিআইয়ের নেতৃবৃন্দের বৈঠক হয়। এতে ডিসিসিআই-এর নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি আবুল কাসেম খান।
বৈঠকে আবুল কাসেম খান বলেন, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু হলে সময় বাঁচবে ও ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় হ্রাস পাবে।

তিনি জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়ায় ৪৬ দশমিক ৩৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, যার বিপরীতে ১১৪৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে।

তিনি বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়ন ও পণ্য বহুমুখীকরণ এবং বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ পর্যটন খাতের বিকাশ ও দক্ষ জনবল তৈরিতে ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতার আহবান জানান।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোমারনো বলেন, গত বছর ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের সময় ৫টি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে সামনের দিনগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় দুই দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে, যার প্রেক্ষিতে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির একটি খসড়া তৈরি হয়েছে। এ চুক্তি চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে শিগগিরই ঢাকায় দুই দেশের কর্মকর্তাবদের বৈঠক হবে।
তিনি ঢাকা ও জাকার্তার মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালুর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
বৈঠকে ডিসিসিআই সহ-সভাপতি রিয়াদ হোসেন, ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসের কাউন্সিলর (ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স) ইনগ্রিদ রোজালিনা উপস্থিত ছিলেন।