পশ্চিমা পোশাক ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পণ্য নিতে প্রস্তুত আছে। কারণ এ দেশের গার্মেন্টস খাতের কর্ম পরিবেশ এখন অনেক বেশি নিরাপদ। বললেন আমেরিকান অ্যাপারেল ব্র্যান্ডের একজন শীর্ষ নির্বাহী ও অ্যালায়েন্স সদস্য সিন কেডি।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কেডি বলেন, গত ৫ বছরে বাংলাদেশের পোশাক খাতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কারখানাগুলো এ খাতের শ্রমিকদের জন্য বিশ্বের মধ্যে অন্যতম নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। গার্মেন্টসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এই মডেল তারা এখন ভিয়েতনাম, ভারত, পাকিস্তানেও ছড়িয়ে দিতে চায়।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের শ্রমিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তখন কর্মপরিবেশ উন্নয়নে পাঁচ বছরের জন্য ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড ও উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স গঠিত হয়।
এরপর ২০১৪ সালের মাঝামাঝি অ্যালায়েন্স একটি হেল্পলাইন চালু করে। এর মাধ্যমে পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের হয়রানি, মজুরি ক্ষতিপূরণ বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান, রিপোর্ট ও বাস্তবায়নভিত্তিক সমস্যাগুলো সমাধানের সুযোগ করে দেয় এ জোট।
অ্যালায়েন্সের তথ্য অনুযায়ী, এই হেল্পলাইনে এ যাবত এক হাজারেরও বেশি কারখানা থেকে মোট ২ লাখ ৩৩ হাজারেরও অভিযোগ এসেছে। যার মধ্যে এ পর্যন্ত ৮০ শতাংশ সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।
কেডি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে আজ আমাদের ক্রয় আদেশও বেড়েছে। ৫ বছর আগের ক্রয়াদেশ আর এখনকার ক্রয়াদেশের দিকে তাকালে সেটা দেখা যায়।
গত মে মাসে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের মেয়াদ শেষ হয়। এর আগেই তিন বছর মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল অ্যাকর্ড।
অনুষ্ঠানে অ্যালায়েন্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জিম মরিয়ার্টি আগামী ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশে জোটটি আর থাকবে না বলে জানান। তিনি বলেন, অ্যালায়েন্স আগামী ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশে কার্যক্রম চালাবে না। এই সময়ের মধ্যে অ্যালায়েন্সের সদস্য কারখানার সব ধরনের সংস্কারকাজ শেষ হয়ে যাবে। ডিসেম্বরের পর আর বাড়তি সময় চাইবে না তারা।
বাংলাদেশের পোশাক খাত এখন সবচেয়ে নিরাপদ: অ্যালায়েন্স
Tag: Featured
No comments: