অভিনয় নৈপুণ্যে লাখো মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী ডলি জহুর। শুরুটা থিয়েটারে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে পরবর্তীতে টেলিভিশন নাটক এবং সিনেমায় অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
এ প্রজন্মের শিল্পী-নির্মাতারা তাকে ভালোবেসে মা বলেই সম্বোধন করেন। তিনিও স্নেহ-ভালোবাসায় সবাইকে মায়ের আদর দিয়ে বুকে টেনে নেন। আজ এই নন্দিত অভিনয়শিল্পীর জন্মদিন (১৭ জুলাই)।
ডলি জহুরকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে তাকে নিয়ে স্ট্যাটাস লিখেছেন আরেক গুণী অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। সঙ্গে শেয়ার করেছেন ডলি জহুরের সঙ্গে ছবি।
শাহনাজ খুশি লিখেছেন, ‘শুটিং স্পটে আমি অগ্রজদের সঙ্গে থাকতে, কথা বলতে অনেক বেশি পছন্দ করি। এ নিয়ে অনেক টিপ্পনি শুনেছি। কিছু আসে যায় না। আমি নিজেকে নিয়ে হারাবার, শিখবার, সামনের পথের আলোর সন্ধান পাই তাদের কাছে।’
ডলি জহুর প্রসঙ্গে খুশি বলেন, ‘ডলি জহুর এক মোহহীন সত্যের নাম, অভিনয়ের এক তীরন্দাজের নাম, সততার এক আলোর নাম, এক সার্বজনীন মায়ের নাম, এক পরোপকারীর নাম, এক আপোষহীন আদর্শের অতি-সাধারণ মানুষের নাম, একটা ভরসা করা ভালোবাসার নাম। অনেক ভালোবাসি আপা, তোমার দীর্ঘায়ু আর সুস্থতা কামনা করি। শুভ জন্মদিন।’
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭৪ সালের দিকে দেশের অন্যতম নাট্য সংগঠন ‘নাটচক্র’র সঙ্গে যুক্ত হন ডলি জহুর। নাট্যচক্রে প্রথম ‘লেট দেয়ার বি লাইট’নাটকে অভিনয় করেন তিনি।
পরবর্তীতে মামুনুর রশীদের নির্দেশনায় বাংলা থিয়েটারের ‘মানুষ’নাটকে অভিনয় করেন। যুক্ত হন আরণ্যকের সঙ্গে। এই দলটির হয়ে মঞ্চে অভিনয় করেন ইবলিশ, ময়ূর সিংহাসনসহ বেশ কয়েকটি নাটকে।
আশির দশকে হুমায়ূন আহমেদের ‘এইসব দিন রাত্রি’নাটকের মাধ্যমে টেলিভিশনের পর্দায় তারকাখ্যাতি পান। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অসাধারণ’। এছাড়া ‘আগুনের পরশমণি’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হন।
১৯৯২ সালে ‘শঙ্খনীল কারাগার’চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। প্রয়াত অভিনেতা জহুরুল ইসলামের সঙ্গে ডলি জহুরের বিয়ে হয় ১৯৭৬ সালের ৫ নভেম্বর। ডলি জহুর তার স্বামীকে হারান ২০০৬ সালের ১০ নভেম্বর।
‘ডলি জহুর এক সর্বজনীন মায়ের নাম’
Tag: Entertainment
No comments: