Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম এত বেশী কেন?





  বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম এত বেশী কেন?

বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন সাড়ে সাত কোটিরও বেশি গ্রাহক।
বাংলাদেশে গত ১০ বছরে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়ে ৭ কোটি ছাড়িয়েছে, ব্যান্ডউইডথের দাম কমেছে, ভ্যাট কমেছে। কিন্তু মোবাইল ইন্টারনেটের দাম এখনো এত বেশি কেন?

বিটিআরসি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত ১০ বছরে ১০০ গুণ বেড়েছে।

দু'হাজার আট সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল আট লাখ। বর্তমানে সেটা বেড়ে আট কোটি ৭৮ লাখে দাঁড়িয়েছে।

অর্থাৎ দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৫% ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ৭.৫ কোটিরও বেশি গ্রাহক।

দেশের মানুষের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে সরকার ব্যান্ডউইডথের দাম কমানোর পাশাপাশি ভ্যাটের হার কমালেও সেই সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা।

রাজধানীর ডেন্টাল কলেজের প্রভাষক অদিতি সেনকে ব্যক্তিগত প্রয়োজন ছাড়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট সংযোগের মধ্যে থাকতে হয়।

কিন্তু মোবাইল ইন্টারনেটের চড়া দাম সেইসঙ্গে অদৃশ্য চার্জের কারণে প্রায়ই তাকে বাড়তি খরচের বোঝা বইতে হয়।

মিসেস সেন জানান, "আমি বাসায় ব্রডব্যান্ড লাইন থেকে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। আমার দিনে মাত্র ছয় থেকে আট ঘণ্টা মোবাইল ডাটা ব্যবহার করতে হয়। এই সময়টুকুর জন্য আমার ১.৫ জিবি ইন্টারনেট ডাটা দুই দিনেই শেষ হয়ে যায়।"

"সব অপরেটরদের অবস্থা একই। এই খরচটা আসলেও অনেক বেশি। অথচ ভারতীয় চ্যানেলে কলরেটগুলো দেখি সেখানে ইন্টারনেটের দাম অনেক কম।"





বৈশ্বিক র‍্যাঙ্কে বাংলাদেশের প্রতিমাসে ব্রডব্যান্ডের গড় খরচ।
কম দামে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় এখনও অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ।

বিশেষ করে বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের দামে বড় ধরণের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।

মোবাইল ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা জিএসএমএ এর তথ্য অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইন্টারনেট মূল্য তুলনামূলক অনেক বেশি।

সরকার পর্যায়ক্রমে ব্যান্ডউইথের দাম কমালেও ইন্টারনেট ডেটার দাম কেন কমছে না - এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটোবের প্রেসিডেন্ট নুরুল কবিরকে।

তিনি বলেন, "ব্যান্ডউইথের এর দামের সঙ্গে ইন্টারনেটের দাম কমার সম্পর্ক খুব কম। কারণ ব্যান্ডউইথ কিনতে তাদের যে টাকা খরচ হয় তা ইন্টারনেট সেবাদানের মোট খরচের সামান্য একটি অংশ। "

"ইন্টারনেট সেবা গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছানো পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পক্ষ জড়িত। সেসব ক্ষেত্রে সরকার ভ্যাট আরোপ করায় সেবার দাম কমছে না। এ অবস্থায় ব্যান্ডউইথ ফ্রি করে দিলেও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমবে না।"

বাংলাদেশে ইন্টারনেটের এই চড়া মূল্য নিয়ে বারবার অভিযোগ জানিয়েছে আসছে মোবাইল ব্যবহারকারীরা। তবে মোবাইল অপারেটর কর্তৃপক্ষ বারবার এমন নানা যুক্তিতে তাদের দায় এড়িয়ে চলছেন।


দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইন্টারনেট মূল্য তুলনামূলক অনেক বেশি।
ব্যান্ডউইথের দাম কমানোর পাশাপাশি সরকার ভাটের হার ১৫ % থেকে কমিয়ে ৫%-এ নামিয়ে আনার পরও গ্রাহকদের কাছে এই সেবা না পৌঁছানোর যে যুক্তি তারা তুলে ধরেছেন - তা মানতে নারাজ ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

তিনি বলেন, "খুব যুক্তিসঙ্গতভাবেই গ্রাহকের এই ভ্যাট কমার সুযোগ ভোগ করার অধিকার আছে। রাষ্ট্র যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেটা টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলো মানতে বাধ্য। আমরা তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে শিগগিরই আলোচনা করবো। প্রয়োজন বোধে আমরা অর্থমন্ত্রীর সামনে বিষয়টি তুলে ধরবো যেন জনগণ এর সুবিধা পায়।"

মোবাইলের গ্রাহকদের কাছে কম দামে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে বিটিআরসির কর্তৃপক্ষ কয়েক দফা মোবাইল ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কোন বাস্তবায়ন হয়নি।

এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) ইন্টারনেট ডেটার মূল্য বিষয়ে কস্ট মডেলিং অর্থাৎ ইন্টারনেট সেবা দিতে কত খরচ হয়, সে ব্যাপারে গবেষণা করেছে।

সেই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।বিবিসি বাংলায়








«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply