অডিওটা আমার কাছে আসেনি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অডিওটা আমার কাছে আসেনি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কক্সবাজারের টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক নিহতের ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়া প্রকাশ হওয়া অডিও ক্লিপ খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।

২৬ মে শনিবার রাত ১২টার কিছু আগে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের নোয়াখালিয়া পাড়া এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক। পরে তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর একরামুল হককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করে তার পরিবার।

৩১ মে দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেয়া হয় অভিযানের সময় একরামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের অডিও ক্লিপ।

এরপরই শুরু হয় সমালোচনা। আলোচিত এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কোনো সদস্য প্রলুব্ধ হয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটালে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঘটনা নিয়ে যে অডিও প্রকাশ হয়েছে সেই অডিওটা আমার কাছে আসেনি কিংবা এ নিয়ে অফিসিয়াল প্রতিবাদ আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত কেউ করেনি। অডিওটা আমাদের কাছে আসবে, আমরা এটা চেক করবো। কেউ যদি আইন অমান্য করেন, যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বা প্রলুব্ধ হয়ে এই ধরণের ঘটনার সূত্রপাত করে থাকেন তাহলে আইন অনুযায়ী তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

একরামের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।

‘একরামের ঘটনাতে যে অডিওটা শুনেছি, একরামের স্ত্রীর কথা, মেয়ের সঙ্গে ফোনালাপগুলো, আমাদের প্রচণ্ডভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। তদন্তে যদি বেরিয়ে আসে যে এখানে র‍্যাব বা পুলিশ বাহিনী জড়িত আছে তাহলে তার বিরুদ্ধে সেইভাবে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।’

পৌর কাউন্সিলর একরাম টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ছিলেন।