কা
ওয়াশিংটন: প্রতীক্ষার আর দশ দিন৷ এর পরই সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছে গোটা বিশ্ব৷
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ট্রাম্প জানালেন সেই খবর৷ হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের সাফল্য নিয়ে এখনই উচ্ছসিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ বৈঠক হবে পূর্ব নির্ধারিত দিনেই৷ মানে ১২ জুন সিঙ্গাপুরে৷ উত্তর কোরিয়ার কোনও রাষ্ট্রনায়কের সঙ্গে এই প্রথম মুখোমুখি হবেন কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷
সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক ট্রাম্প-কিম শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বার বার অবস্থান বদল করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন৷ একটা সময় বৈঠক হবে কীনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন কূটনৈতিক মহল৷ কিন্তু উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরই অবস্থান বদল করেন ট্রাম্প৷
এর পরই ঐতিহাসিক শীর্ষ সম্মেলনের তোড়জোড় শুরু করে দেয় হোয়াইট হাউস৷ শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমরা এই বৈঠকে যোগ দেব৷ এই বৈঠকের মধ্যে দিয়ে একটি প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছি৷’’ তবে তিনি জানিয়ে দেন বৈঠকে বসলেও দুই দেশের মধ্যে কোনও চুক্তি সাক্ষরিত হবে না৷
এই বৈঠকে বসার জন্য উত্তর কোরিয়ার উপর কিছু শর্ত চাপায় আমেরিকা৷ ট্রাম্প চাইছিলেন কিম পরমাণু অস্ত্র নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা বন্ধ করুক৷ পাল্টা উত্তর কোরিয়া জানায় আমেরিকা যদি পারমাণবিক অস্ত্র নষ্ট করে ফেলার জন্য তাদের ওপর চাপ দেয় তাহলে তারা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে বসবে না
পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয় মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের একটি বিবৃতি৷ তার পরই ক্ষেপে যান কিম জং উন৷ বৈঠকে যোগ না দেওয়ার হুমকি দেন তারা৷ অপরদিকে ২৪ মে কিমকে চিঠি লিখে ট্রাম্পও শীর্ষ সম্মেলন বাতিল করার কথা জানান৷ কিন্তু মে মাসের শেষের দিকে উত্তর কোরিয়া তাদের একমাত্র পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র পুঙ্গেইরি কেন্দ্রটি ধ্বংস করে৷ এর পরেই পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় দিকে শুরু করে৷
No comments: