Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » মেহেরপুর জেলা গাংনী উপজেলার শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন।




মেহেরপুর জেলা গাংনী উপজেলার শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন। মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ৬টি (ষোলোটাকা, মটমূড়া, বামুন্দী, রায়পুর, কাজীপুর ও তেঁতুলবাড়িয়া) ইউনিয়নের উপর দিয়ে মাত্র ১০/১২ মিনিট ব্যাপী আচমকা শিলা বৃষ্টির প্রবল বর্ষণ শুরু হয়। প্রতিটি শিলার গড় ওজন ছিল ২০০/৩০০ গ্রামের মত। এতবড় আকৃতির শিলা অত্র এলাকার মানুষজন কখনো দেখেননি বলে জানান। সরকারি ছুটির দিন সত্বেও আজ প্রত্যুষে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা সরেজমিন দেখার জন্যে বেরিয়ে পড়ি। উপজেলা কৃষি অফিসার বিভাগীয় প্রশিক্ষণ উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকার পথে থাকার জন্যে আমার সফর সঙ্গী ছিলেন স্ব স্ব ব্লকের উপ সহকারী কৃষি অফিসারবৃন্দ। সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা অব্দি যেসব এলাকা পরিদর্শন করা হলো সেগুলো হচ্ছে, ষোলোটাকা, তেরাইল, বামুন্দী, মঠমুড়া, নওদা হোগলবাড়িয়া, রামনগর, কাজীপুর, তেঁতুলবাড়িয়া প্রভৃতি। অপরাহ্নে মেহেরপুর-২ আসনের মাননীয় সাংসদ মকবুল হোসেন মহোদয় সচক্ষে আমাকে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন। শিলাক্রান্ত ফসলের মধ্যে আছে, বোরো ধান, ভূট্টা, গম, কলা, আম, বেগুন, কুমড়া, মরিচ বীজতলা প্রভৃতি। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার ফসলী জমির প্রাথমিক ক্ষতির বিবরন সদর দপ্তর খামারবাড়ি ঢাকার নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক ক্ষতির পরেও কিছু ফসল রিকভার করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। চূড়ান্ত ক্ষতির বিষয়টি জানতে আমাদেরকে আরো সপ্তাহখানেক অপেক্ষা করতে হবে। জরুরী ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা এবং ক্ষতির পরিমান সঠিকভাবে নিরূপণের জন্যে সংশ্লিষ্ট এসএএওদেরকে নির্দেশনা দিয়ে তাঁদের সকল প্রকার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ফসলী জমির ক্ষতির সাথে সাথে ঢেউটিনের ঘরের চালার ক্ষতি হয়েছে সবচে বেশি। চড়াদামে স্থানীয় বামুন্দী বাজারে ঢেউটিন বিক্রি হচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে ঢেউটিনের টিনের ঘরের নতুন চালার ছাউনী দেয়ার কাজ চলছে। এটা মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলাবাসীদের জন্যে সত্যিই একটা দু:সংবাদ বটে। তবে এই দুর্যোগ হতে মেহেরপুর জেলার অপরাপর উপজেলাগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply