চলতি মাসের মধ্যে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের সুদ হার এক অংকে নামিয়ে আনা হবে

চলতি মাসের মধ্যে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের সুদ হার এক অংকে নামিয়ে আনা হবে। রোববার সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে একথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বিবেচনায় ১০ শতাংশ খেলাপি ঋণ খুব বেশি নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে খেলাপি ঋণ আদায়ে রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। লাগামহীন ঋণ খেলাপিতে ধুঁকছে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত। আঞ্চলিক ব্যাংকিং সম্মেলনের এক পরিসংখ্যানের তথ্যমতে, পার্শ্ববর্তী সবদেশকে ছাড়িয়ে গেছে দেশের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ। খুব একটা কাজে আসছে না কোন উদ্যোগ বা কোন ব্যবস্থা। এজন্য গেল ১০ বছরে আদায় হয়নি খেলাপি ঋণের প্রায় ৬৫ হাজার ৬শ' দুই কোটি টাকা। এ অবস্থায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে জনতা ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর সেবার মান ও বড় অংকের খেলাপি ঋণ নিয়ে সমালোচনা করেন, অনুষ্ঠানের অতিথিরা। এসময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বড় ঋণের পরিবর্তে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ বিতরণের পরামর্শ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। তিনি বলেন, 'খেলাপি ঋণ আদায়ে আরো জোরদার ব্যবস্থা করতে হবে। বিচারাধীন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।' অনুষ্ঠানে ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বলেন, এখন থেকে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট সম্পদের ৫০ শতাংশ রাষ্ট্রায়ত্ব বাংকগুলোতে জমা রাখতে হবে। তিনি বলেন, 'এই সুদের হার বাড়ার কোন যৌক্তিকতা নেই। কোথাও তারল্যের কোন সমস্যা নেই। আমি খুবই খুশি আমাদের ব্যাংকগুলো একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে এই মাসের মধ্যে তারা সুদের হার এক অংকে নামিয়ে আনবেন।' নির্বাচনী বছরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে আশা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এবছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলনের চেয়ে দশমিক তিন শতাংশ বাড়বে।