Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » বাবা নয়, চার বছর মর্গে থাকা সেই লিপা রাণীর লাশ পাবে শ্বশুর





 
     বাবা নয়, চার বছর মর্গে থাকা সেই লিপা রাণীর  লাশ পাবে শ্বশুর


চার বছর আগে আত্মহত্যা করার পর থেকে হিমঘরেই আছে লিপা রাণী থেকে ধর্মান্তরিত হওয়া হোসনে আরা’র মরদেহ। বাবা এবং শ্বশুরের দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর সেই মরদেহ শেষ পর্যন্ত তার শ্বশুরের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মিফতা উদ্দিন চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ওই মরদেহ ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক দাফনের নির্দেশও দিয়েছেন।

আদালত এই রায়ের কপি পৌঁছানের ৩ দিনের মধ্যে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন।দাফনের সময় ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ ফোর্স রাখার জন্য নীলফামারির ডিসি’র প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।

এছাড়াও শেষবারের মত মেয়ের বাবা ও পরিবারকে মরদেহ দেখার সুযোগ দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। আদালতে শ্বশুরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম বদরুদ্দোজা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে থেকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার অক্ষয় কুমার রায় মাস্টারের মেয়ে লিপা রাণী একই উপজেলার জহুরুল ইসলামের ছেলে হুমায়ন ফরিদ লাইজুর সাথে ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর পালিয়ে যায়। পরে ধর্মান্তরিত হয়ে লাইজুকে বিয়ে করে লিপা।

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে লিপা রাণী রায় তার নাম রাখেন মোছা. হোসনে আরা ইসলাম লাইজু।

তবে লিপার বাবা ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর বাদী হয়ে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি অপহরণ মামলা করেন। কিন্তু মেয়ে ও ছেলে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ের সকল কাগজপত্রসহ আদালতে হাজির করে জবানবন্দি দিলে আদালত অপহরণ মামলাটি খারিজ করে দেন।

এরপর মেয়ের বাবা মামলার খারিজের বিরুদ্ধে আপিল করে তার মেয়েকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও মস্তিষ্ক বিকৃত দাবি করেন।

পরবর্তীতে আদালত এই আবেদন আমলে নিয়ে মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য রাজশাহী সেফ হোমে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। মেয়েটি সেফ হোমে থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি স্বামী হুমায়ূন ফরিদ লাইজু বিষপান করে আত্মহত্যা করে।

এরপর লাইজুর আত্মহত্যার বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করে বাবা তার মেয়েকে নিজ জিম্মায় নিতে আদালতে আবেদন করার পর আদালত তা মঞ্জুর করেন।


২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি মেয়েকে নিয়ে বাবা তার বাড়িতে রাখেন। আর ২০১৪ সালের ১০ মার্চ বাবার বাড়িতে নিজ শোবার ঘরে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে মেয়েটি।

২০১৪ সালের ১১ মার্চ নীলফামারী জেলার মর্গে মেয়েটির মরদেহ ময়না তদন্ত করা হয়। এরপর পুত্রবধূ দাবি করে মেয়েটির শ্বশুর জহুরুল ইসলাম- ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক দাফনের জন্য আদালতে আবেদন করেন।

তবে মেয়ের বাবা অক্ষয় কুমার হিন্দু শাস্ত্র মতে সৎকারের জন্য আদালতে আবেদন করেন।

এরপর উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ডোমার থানা পুলিশকে একটি প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। কিন্তু উভয়পক্ষ নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে ডোমার থানা পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত মেয়েটির মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংরক্ষণের আদেশ দেন। এরপর মেয়েটির মরদেহ সেখানে রাখা হয়।

পরবর্তীতে মেয়েটির মরদেহ দাবির মামলা মেয়েটির শ্বশুরের পক্ষে গেলে মেয়ের বাবা সাব-জজ আদালতে আপিল করেন। তবে আপিলে মেয়ের বাবার পক্ষে রায় আসে।

তবে এর পরই মেয়েটির শ্বশুর জহুরুল ইসলাম রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। সে আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার রায় দেয়।
 
 






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply