বর্ষাকালে ঝড় তুফানে পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে অন্তত ২ লাখ রোহিঙ্গা
পাহাড়ে রোহিঙ্গাদের বসতি
কাল বৈশাখীর ঝড়-ঝাপ্টা জানান দিচ্ছে ভারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে যে কোনো সময়। এমন পরিস্থিতিতে দুই লাখ রোহিঙ্গা আছে পাহাড় ধসের ঝুঁকিত
চোখ যতদূর যায় ছোট ছোট ঘর আর ঘর। কোথাও পাহাড় কেটে আবার কোথাও মাটি ছেটে অপরিকল্পিতভাবে বানানো হয়েছে শত-শত হাজার-হাজার ঝুপড়ি।
কিন্তু এক বছর আগেও এ এলাকায় ছিল সবুজের সমারোহ। ছোট-বড় গাছের সারি আর বন জঙ্গলের কারণে দেখা যেতো না পাহাড়ের মাটি ।
মাত্র কয়েকটা মাসের মধ্যেই প্রথমে উজাড় হলো গাছ-পালা বন-জঙ্গল। এরপর রাতারাতি বানানো হলো ঝুপড়ির এই বসতি হাজার হাজার রোহিঙ্গার বসতি এতে। আতংকে আছেন তারাও।
রোহিঙ্গাদের একজন বলেন, বাংলাদেশে বর্ষাকালে ঝড় তুফান একসাথে আসে। আমাদের বসবাস পাহাড়ে ঢালুতে খুব ভয় লাগছে।
অন্য রোহিঙ্গা বলেন, বর্ষাকালে ঝড়-বৃষ্টি হলে আমাদের ঘর বাড়ি ভেঙ্গে যাবে। খুব বেশি বাতাসও হবে। আমাদের একটু সাহায্য করলে ভালো হতো। লাখ দুয়েক রোহিঙ্গা ঝুঁকি বসবাসের কথা স্বীকার করেছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনও। তবে কাজ চলছে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাবার-জানালেন কর্মকর্তারা।
আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোও কাজ করছে রোহিঙ্গাদের ঝুঁকিমুক্ত করতে।
তুরস্কভিত্তিক সাহায্য সংস্থা আফাদের প্রধান মাহমিদ বলেন, আমার জানা মতে, ১ মিলিয়ন লোক এখানে পাহাড় ঝুঁকিতে রয়েছে। ২ মাস পর সামনে বর্ষা আসছে। আমরা এনালাইসিস করছি। আমরা প্রস্তত রয়েছি নিরাপদ শেল্টার তৈরির জন্য আমরা স্বাস্থ্য এবং স্যানিটেশনের কাজ করবো।
প্রশাসনের হিসাব কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে এখন রোহিঙ্গা আছে প্রায় এগার লাখ। এদের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয় করা গেছে সাড়ে ৬ লাখের। বাকিরা আছে বাঁশ-পলিথিনের ঝুপড়িতে।
No comments: