সামনের বছরে বাংলাদেশের জিডিপি-মূল্যস্ফীতি বাড়বে: এডিবি

  সামনের বছরে বাংলাদেশের জিডিপি-মূল্যস্ফীতি বাড়বে: এডিবি

২০১৮ সালে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক- এডিবি। বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন এডিবি'র কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ। এ সময় ঋণ ব্যবস্থাপনার ঝুঁকি এবং ব্যাংকিং খাতে সু-শাসন ফিরিয়ে আনা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন এডিবি কার্যালয়ের অর্থনীতিবিদ সুন চাং হং।


অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের একদিন পরেই দেশের সার্বিক অর্থনীতি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন এশিয় উন্নয়ন ব্যংক- এডিবির। সংবাদ সম্মেলনে, চলতি অর্থবছর শেষে মোট দেশজ উৎপাদন ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। এ সময় জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমাগত তেলের দাম বাড়ায় চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

এডিবি কান্ট্রি ডিরেস্ট্রর মনমোহন প্রকাশ বলেন, 'আমরা ধারণা করছি ২০১৮ সালে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশ হতে পারে। একসঙ্গে ২০১৯ সালে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। চলতি দশকে মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।'

তথ্য উপাত্তের পার্থক্যের কারণে বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যান ভিন্ন হলেও বাংলাদেশ ধারাবাহিক ভাবে এগিয়ে যাওয়ায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন তিনি। তবে এই গতি ধরে রাখতে অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ দেন তিনি।

এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্ট্রর মনমোহন প্রকাশ বলেন, 'গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার বড় হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি বিনিয়োগ বেড়েছে। যার ফলে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ধারা সন্তোষজনক। তবে অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে।'

দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতিতে অর্থনীতির বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর জোর দেন এডিবি কার্যালয়ের অর্থনীতিবিদ সুন চাং হং।

তিনি বলেন, 'দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকলে দেশের বাইরে বিনিয়োগ চলে যাবার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তাই প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানো উচিত।'

সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত ঋণ ব্যবস্থাপনার ঝুঁকি এড়াতে ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক নীতি অনুসরণের পাশাপাশি এ খাতে সু-শাসন জরুরি বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।