আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ট সরকার’ উল্লেখ করে এই সরকারের পতনের জন্য জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাদা দল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আইয়ুব খানের পতনের জন্য ১২ বছর, এরশাদের পতনের জন্য ৯ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমেই তা সম্ভব হয়েছে। এই সরকারের পতনের জন্য আমরা সেরকম একটি জাতীয় ঐক্য করছি। জনগণের কাছে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, যেকোনো কিছুর উত্থান পতন থাকবে। কখনো গভীর হবে। কখনো কমে যাবে। কেউ হতাশ হবেন না। আমাদের ভুল ত্রুটি হতে পারে। কিন্তু আন্তরিকতায় কোনো শেষ নেই। আমরা প্রমাণ করেছি বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। এখন দরকার জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা।
এরশাদকে ‘বিশ্ব বেহায়া’ উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এই যে ভদ্রলোকটি, যাকে বলা হয় বিশ্ব বেহায়া, আজ সমাবেশ করলেন। যে স্বৈরাচারকে মানুষ টেনে নামিয়েছে, সে স্বৈরাচারকে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করতে দিলো।
সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ ক্ষমতা দখল করেছিলেন। ৩৬ বছর পর সেই দিনটিতে তার দল জাতীয় পার্টি ঢাকায় মহাসমাবেশ করেছে।
‘আওয়ামী লীগের চরিত্র ডাবল স্
শুক্রবার জার্মান প্রতিষ্ঠান ‘বেরটেলসম্যান স্টিফটুং’ এর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়: ‘বাংলাদেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীন এবং সেখানে এখন গণতন্ত্রের ন্যুনতম মানদণ্ড মানা হচ্ছে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আসলে স্বৈরাচার বললে কিছুটা মর্যাদা দেয়া হয়। আমি বলবো এ সরকার ফ্যাসিবাদী সরকার। যতো কঠিন সময় আসুক না কেন আমরা নতজানু হবো না। আমাদেরকে জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করতে হবে।
ফখরুল বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। কিন্তু দেশনেত্রীকে নিয়ে। মুক্ত বেগম খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে। নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকার, লেভেল প্লেইং ফিল্ড, সকল দলের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ‘আমার দেশ’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ আখতার হোসেন খান।
No comments: