Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বিশ্বকাপে আফগানিস্তান






জিতলেই বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ। আগের দিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হেরে আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকে এমন সুযোগই করে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। সুযোগটা কাজে লাগাতে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছে দুদল। শেষ পর্যন্ত ‘যুদ্ধে’ জিতে ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে আফগানরা। আইরিশদের ৫ উইকেটে হারিছে রশিদ-নবীদের দল।

প্রথম ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ২০৯ রান করে আয়ারল্যান্ড। জবাবে ৫ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান। কোয়ালিফাই পর্বের প্রথম তিন ম্যাচের হারের পর টানা চার ম্যাচ জিতে দশম দল হিসেবে ইংল্যান্ডের টিকিট কাটল আফগানরা।

শেষ বলে স্ট্যানিকজাই বাউন্ডারি মারার সঙ্গে সঙ্গেই হৃদয় ভেঙে যায় আয়ারল্যান্ডের। সেই সঙ্গে জিম্বাবুয়েরও। আরব আমিরাত বিপর্যয়ের পর এই ম্যাচের উপর এক শতাংশ হলেও বিশ্বকাপ ঝুলে ছিল বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইংয়ের স্বাগতিক দেশের।

জয়ী দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলবে। এই সরল হিসাব ছাড়াও আফগান-আইরিশ ম্যাচে ছিল অনেক জটিল হিসেবে অঙ্ক। যেগুলো অদ্ভুত হিসাব বললেও বোধ হয় বেঠিক হবে না।

এই ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে নেট রানরেটে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হত আয়ারল্যান্ডের। কারণ জিম্বাবুয়ের চেয়ে নেট রানরেটে আইরিশরা এগিয়ে ছিল। আয়ারল্যান্ডের নেট রানরেট যেখানে ০.৪৭, সেখানে জিম্বাবুয়ের ০.৪২। তবে যদি ম্যাচ টাই হত সেক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ডের নেট রান কমে যেত এবং জিম্বাবুয়ের বাড়ত। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপে খেলত জিম্বাবুয়ে। আর জেতা ছাড়া আফগানিস্তানের কোনো হিসাবই ছিল না। শেষ পর্যন্ত কোনো হিসাব রাখেওনি ক্রিকেট বিশ্বের ‘আগমনী পরিশক্তিরা’।

২১০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম সাড়ে ষোলো ওভারেই ওপেনিং জুটিতে ৮৬ রান তুলে বড় জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মোহাম্মদ শাহজাদ ও গুলবোদিন নায়েব। কিন্তু দুই ওপেনার ফেরার পরই থেমে যায় আফগানিস্তানের রানের চাকা।

৫০ বলে ছয়টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৪ রান করে আউট হন শাহজাদ। একশ রানের গণ্ডি ছাড়িয়ে সাজঘরে ফেরেন ৪৫ রান করা নায়েব। চার রানের ব্যবধানে রহমত শাহ (১২) ফিরলে চাপে পড়ে আফগানরা। পাগলামি এক শট খেলে দলকে আরো চাপে ফেলেন ১২ রান করা মোহাম্মদ নবী।

তবে বিশ্বকাপ স্বপ্নটা ফিকে হয়ে যাওয়ার আগে দলের হাল ধরেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ও অধিনায়ক আসগার স্ট্যানিকজাই। ৪৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে নিজে যান তারা। নিচু এক বলে ২৭ রান শেনওয়ারি আউট হলে আবার জমে যায় খেলা। রান ও বলের ব্যবধান কাছাকাছি থাকায় ম্যা জমেছিল শেষ পর্যন্তই।

কিন্তু স্ট্যানিকজাই’র ২৯ বলে ৩৯ রান ও নাজিবুল্লাহ জাদরানের অপরাজিত ১৭তে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০১৩ তোলে আফগানিস্তান। বাউন্ডারি মেরে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা স্ট্যানিকজাই’র ইনিংসটি সাজানো চারটি চার ও এক বিশাল ছক্কায়।

আয়ারল্যান্ডের সেরা বোলার সিমি সিং। ১০ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই স্পিনার।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৫৩ তোলে আয়ারল্যান্ড। তবে তাদের রান তোলার গতি ছিল খুবই মন্থর। ৪৫ বলে ২০ রান করে প্রথমে আউট হন অধিনায়ক উইলিয়াম পোটারফিল্ড। আরেক ওপেনার পল স্টার্লিং ৫৫ রান করতে বল খরচ করেন ৮৭টি।

মিডলঅর্ডারে নীল এবং কেভিন ও’ব্রায়েন দুই ভাই ছোড়া অন্যরা ব্যর্থ। ফলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বড় স্কোর গড়ার রাস্তা আটকেই ছিল আইরিশদের। নীল ও’ব্রায়েন ৩৬ এবং কেভিন করেন ৪১ রান। অন্য চার ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারলেও ১৫ রানের গণ্ডি ছাড়াতে পারেননি।

আফগানদের হয়ে সফল বোলার যথারীতি রশিদ খান। ১০ ওভারে ৪০ রানের বিনিময়ে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া দৌলত জাদরান দুটি ও মোহাম্মদ নবী নেন একটি উইকেট।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply