Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ২৪৫ রানে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ইনিংসে আটকে দিয়েছে প্রোটিয়ারা






বোলারদের দাপটে এগিয়ে প্রোটিয়ারা

ডিন এলগারের ব্যাটিংয়ের পর কেপটাউন টেস্টে সাউথ আফ্রিকাকে এগিয়ে রাখল বোলাররা।

২৪৫ রানে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে তাদের প্রথম ইনিংসে আটকে দিয়েছে প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় দিনশেষে মাত্র এক উইকেট হাতে রেখে এখনো ৬৬ রানে পিছিয়ে অজিরা।

প্রথম ইনিংসে সাউথ আফ্রিকার করা ৩১১ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালই করে অস্ট্রেলিয়া। ওপেনিং জুটিতে তোলে ৪৩ রান। কিন্তু এরপরই দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। ৩০ রান করে ডেভিড ওয়ার্নার ফেরার পর একে ফেরেন উসমান খাজা (৫), অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ (৫)।

শন মার্শকে সঙ্গে নিয়ে ৭৮ রান তুলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন ক্যামেরন বেনক্রফট। কিন্তু ৭৭ রান করা বেনক্রফট ফিরে গেলে আবারও মড়ক লাগে অজি ব্যাটিং লাইনআপে। মিশেল মার্শ, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি।

মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার অস্ট্রেলিয়াকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেন স্পিনার নাথান লায়ন। টিম পাইনের সঙ্গে গড়েন ৭০ রানের জুটি। দিনের শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে আউট হওয়ার আগে করেন ৪৭ রান। দিনশেষে পাইন ৩৩ ও জশ হ্যাজেলউড ১ রানে অপরাজিত আছেন।

সাউথ আফ্রিকার হয়ে ৪ উইকেট নিয়ে সফল বোলার মরনে মরকেল। টেস্ট ক্রিকেটে এদিন ৩০০ উইকেট নেয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন প্রোটিয়া পেসার। পঞ্চম সাউথ আফ্রিকান হিসাবে এই কীর্তি অর্জন করলেন তিনি। এছাড়া কাগিসো রাবাদা ৩টি ও ভারনন ফিল্যান্ডার নেন ২টি উইকেট।

এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩১১ রানে অলআউট হয় সাউথ আফ্রিকা। ওপেনার এলগার অপরাজিত ছিলেন ১৪১ রানে।

অজিদের বিপক্ষে টেস্টের প্রথম দিনই ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন ডিন এলগার। তার সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি করেন এবি ডি’ভিলিয়ার্সও। দুজনের ১২৮ রানের জুটিতে একসময় ২ উইকেট হারিয়ে ২২০ তাদের স্কোর। সবই যেন ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব ডুবে গেল মনে হল। শেষ ৩৭ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা।

অজি পেসার প্যাট কামিন্সের ঝড়ের মধ্যও প্রোটিয়াদের দেয়াল হয়েছিলেন এলগার। থাকলেন পুরো ইনিংসেই। তার অপরাজিত ১২১ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ২৬৬ রানে প্রথমদিন শেষ করে প্রোটিয়ারা। সেখান থেকে দ্বিতীয় দিন ইনিংসটা টেনে নিয়ে যান তিনশ’র উপরে। এলগারের শতক, ডি’ভিলিয়ার্সের ৬৪ ও আমলার ৩১ রানের সঙ্গে উল্লেখ করার মত রান পেয়েছেন কেবল কাগিসো রাবাদা ২২। প্রোটিয়াদের ৭ জন ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি।

এই টেস্টের আগে সম্পূর্ণ হওয়া কোনো ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করার নজির তিনবার গড়তে পেরেছিলেন কেবল ক্যারিবিয়ান ওপেনার হেইন্স।

এলগার এবারের আগে সবশেষ আদ্যন্ত ব্যাটিংয়ে অপরাজিত ছিলেন মাত্র দুই মাস আগেই। ভারতের বিপক্ষে জোহানেসবার্গ টেস্টে দলের ১৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ৮৬ রানে।

বাঁ-হাতি ওপেনার প্রথমবার এই স্বাদ পেয়েছিলেন ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ডারবান টেস্টে। সেবার দলের ২১৪ রানে এলগার অপরাজিত ছিলেন ১১৪ রানে।

হেইন্স প্রথমবার পুরো ইনিংস ব্যাটিংয়ে অপরাজিত ছিলেন ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। করাচি টেস্টে দলের ২১১ রানে হেইন্স করেছিলেন অপরজিত ৮৬। পরে ১৯৯১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভালে ও ১৯৯৩ সালে আবার পাকিস্তানের বিপক্ষে পোর্ট অব স্পেনে এই কীর্তি গড়েন হেইন্স।

দুবার করে এই কীর্তির স্বাদ পেয়েছিলেন চার জন- দুই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার বিল উডফুল ও বিল লরি, ইংল্যান্ডের লেন হাটন ও নিউ জিল্যান্ডের গ্লেন টার্নার।

বাংলাদেশের হয়ে এই স্বাদ পেয়েছেন এখনও পর্যন্ত কেবল একজনই। ২০১১ সালে বুলাওয়ায়োতে নিজের অভিষেক টেস্টে দলের ১৬৮ রানে জাভেদ ওমর বেলিম অপরাজিত ছিলেন ৮৬ রানে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply