Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » বাংলা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তুলে তমদ্দুন মজলিস বাংলা ভাষা আন্দোলন শুরু করে।





 বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তুলে তমদ্দুন মজলিস বাংলা ভাষা আন্দোলন শুরু করে।

তমদ্দুন মজলিস ১৯৪৭ সালে আবুল কাসেম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের, (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) একটি ইসলামি সাংস্কৃতিক সংগঠন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তুলে তমদ্দুন মজলিস বাংলা ভাষা আন্দোলন শুরু করে।



[ তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম।]] ভারত বিভাগের পরপরই ১৯৪৭ সালের পহেলা সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেম ঢাকায় তমদ্দুন মজলিস প্রতিষ্ঠা করেন।[২] প্রথমদিকে সংগঠনটি বেশ সক্রিয় ছিল,বাংলা ভাষা আন্দোলনে সংগঠনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই সংগঠনের সদস্যগণ পূর্ব পাকিস্তান নবজাগরণ সমাজের ধ্যান ধারণা দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। দেশবিভাগের পর সংগঠনটি বুঝতে পেরেছিল যে পাকিস্তান সরকার সেই আদর্শ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল না যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। এই কারণে তমদ্দুন মজলিস মুসলিম লীগ থেকে আলাদা হয়ে যায়।

বাংলা ভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ততা[সম্পাদনা]

পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা: বাংলায় না উর্দু? -এর প্রচ্ছদ
যদিও তমদ্দুন মজলিসের উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তান নামক নতুন রাষ্ট্রের মানুষের ইসলামিক চেতনা শক্তিশালী করা, কিন্তুভাষা আন্দোলনে এই ধর্মভিত্তিক সংগঠনটির সাহসী ভূমিকার জন্য বাংলা ভাষী মুসলিম জনগোষ্ঠীর কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি “মোটেও পূর্ব-পাকিস্তানের রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি ও কমিউনিস্টদের দ্বারা প্রভাবিত ছিল না।” ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বরে তমদ্দুন মজলিস একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে যার নাম ছিল পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা না উর্দু? এই পুস্তিকার লেখক কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল মনসুর আহমেদ এবং অধ্যাপক আবুল কাসেম (তমদ্দুন মজলিসের সাধারণ সম্পাদক) বাংলা ভাষাকে পূর্ব বাংলায় ভাব বিনিময়, অফিস ও আদালতের একমাত্র ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পক্ষে জোরালো মতামত তুলে ধরেন। তাঁরা বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষেও জোরালো দাবি জানান। পুস্তিকাটিতে অধ্যাপক আবুল কাসেম কিছুসংক্ষিপ্ত প্রস্তাবনা তুলে ধরেন যার মূল কথা নিম্নরূপঃ

বাংলা হবেঃ
পূর্ব-পাকিস্তানে তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম;
পূর্ব-পাকিস্তানের আদালতের ভাষা; এবং
পূর্ব-পাকিস্তানের দাপ্তরিক ভাষা।
উর্দু এবং বাংলা ভাষা হবে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের দাপ্তরিক ভাষা।
পূর্ব-পাকিস্তানে শিক্ষার প্রধান মাধ্যম হবে বাংলা ভাষা; যা সব শ্রেণীর মানুষ শিখবে;
উর্দুপূর্ব-পাকিস্তানের দ্বিতীয় ভাষা বা আন্তঃ-প্রাদেশিক ভাষা হিসেবে গণ্য হতে পারে, যা সেই সমস্ত মানুষকে শেখানো হবে যারা পশ্চিম পাকিস্তানে কাজ করবে। পূর্ব-পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫% থেকে ১০% মানুষ উর্দুশিখলেই যথেষ্ট।মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোতে উপরের দিকের শ্রেণীতে উর্দুশেখানো যেতে পারে;এবং
ইংরেজি হবে পূর্ব-পাকিস্তানের তৃতীয় অথবা আন্তর্জাতিক ভাষা।
কয়েক বছরের জন্য ইংরেজি ও বাংলা উভয়েই পূর্ব-পাকিস্তানের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ব্যবহার হবে।"[৩]
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ[সম্পাদনা]
তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের বাঙালি বিরোধী নীতি এবং বাংলা ভাষা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য এবং সেই সময়কার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমান কর্তৃক রচিত পত্রের বিরোধিতার জন্য ১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাসে তমদ্দুন মজলিস প্রথম ‘’রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’’ গঠনে নেতৃত্ব দেয়। যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নূরুল হক ভূঁইয়া ‘’রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’’- এর প্রথম প্রধান সমন্বয়ক নির্বাচিত হন, তমদ্দুন মজলিসের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কাসেম বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার জন্য দেশব্যাপী সমর্থন আদায়ের মাধ্যমে বাংলা ভাষা আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা রাখেন। তিনি তরুণ প্রজন্ম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্দোলনে যুক্ত করতে সক্ষম হন। এভাবেই প্রথম ‘’রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’’ ১৯৪৭ সালের শেষভাগে এবং ১৯৪৮ সালের শুরুর দিকে ভাষা আন্দোলনকে সাংগঠনিক শক্তি প্রদান করে।[৪] করাচীতে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষা সভায় উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রতিবাদে ১৯৪৭ সালের ৬ ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ‘’রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’’-এর আহ্বানে প্রথম বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী যোগদান করেন। এই সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল কাসেম। এই সমাবেশে যোগদান করেন মুনীর চৌধুরী, আব্দুর রহমান, কল্যাণ দাসগুপ্ত, এ.কে.এম. আহসান এস.আহমেদ এবং ডাকসু-এর তৎকালীন সভাপতি ফরিদ আহমেদ।[৫] বাংলা ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে তমদ্দুন মজলিসের অবস্থান তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করেছিল।[৬]

প্রকাশনা: সাপ্তাহিক সৈনিক[সম্পাদনা]
বাংলা ভাষা আন্দোলনের একটি মুখপত্র হিসেবে ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত তমদ্দুন মজলিস ‘’সাপ্তাহিক সৈনিক’’ নামে একটি সাপ্তাহিক প্রকাশ করে।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]
এই সংগঠনটির কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হচ্ছেন:

অধ্যাপক আবুল কাসেম
আবুল হাশিম
দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ
শাহেদ আলী
নূরুল হক ভূঁইয়া
শওকত আলী (রাজনীতিবিদ)
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
ঝাঁপ দাও ↑ প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম : মাতৃভাষাকে ঘিরে যে ফুল বিকষিত, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা, মার্চ ২৪, ২০০৬।
ঝাঁপ দাও ↑ "History"। Tamuddun Majlish। সংগৃহীত ৪ জানুয়ারি ২০১৫।
ঝাঁপ দাও ↑ উমর, বদরুদ্দীন। পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি। মাওলা ব্রাদার্স, ১৯৭০, পৃঃ ১৪
ঝাঁপ দাও ↑ Manik, Dr. M. Waheeduzzaman. THE MAKING OF THE FORMATIVE PHASES OF THE BENGALI LANGUAGE MOVEMENT IN THE EARLY YEARS OF PAKISTAN. http:// www.globalwebpost.com/bangla/info/articles/manik_dhiren_early_years.htm
ঝাঁপ দাও ↑ উমর, বদরুদ্দিন (১৯৭৯)। পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি (বাংলা ভাষায়)। ঢাকা: মাওলা ব্রাদার্স। পৃ: পৃঃ২০–২১।
ঝাঁপ দাও ↑ [[বশীর আল হেলাল|আল হেলাল, বশীর]] (২০০৩)। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস (বাংলা ভাষায়)। ঢাকা: মাওলা ব্রাদার্স। পৃ: p133–134। আইএসবিএন 984-401-523-5।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
Principal Abul Kashem at Banglapedia (English)
Tamaddun Majlish at The Daily Star
Bangla language movement
History of Bangladesh
[আড়াল করো] দে স
বাংলা ভাষা আন্দোলন
ইতিহাস এবং ঘটনাসমূহ
(বাংলা ভাষা আন্দোলনের কালপঞ্জি)
বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাংলা ভাষা আন্দোলন ভারত বিভাগ ১৯৪৭ এ বাংলা বিভাগ পূর্ব পাকিস্তান বঙ্গ পাকিস্তানের গণপরিষদ তমদ্দুন মজলিস সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মী পরিষদ রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা উর্দু আন্দোলন পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা না উর্দু? বাংলা ভাষা আন্দোলন (মানভূম) বাংলা ভাষা আন্দোলন (বরাক উপত্যকা)
ব্যক্তিত্ব
আবুল বরকত আবদুল জব্বার শফিউর রহমান আবদুস সালাম রফিকউদ্দিন আহমদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত খাজা নাজিমুদ্দিন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ হামিদুর রহমান আবুল কাসেম সামসুল হক নূরুল হক ভূঁইয়া লিয়াকত আলি খান মোহাম্মদ তোয়াহা আব্দুল মতিন আব্দুল মালেক উকিল এ কে ফজলুল হক মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী কবি এম.এন.এন শহিদুল্লাহ সাহিত্যরত্ন অলি আহাদ আবুল হাশিম শওকত আলী আবুল কালাম শামসুদ্দীন কাজী গোলাম মাহবুব গাজীউল হক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মাহবুব উল আলম চৌধুরী জহির রায়হান মোহাম্মদ সুলতান আব্দুল লতিফ আলতাফ মাহমুদ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ নুরুল আমিন আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ শেখ মুজিবুর রহমান মুনির চৌধুরী সুফিয়া কামাল লাবণ্য প্রভা ঘোষ ভাবিনী মাহাতো রণেন্দ্রমোহন দাস নলিনীকান্ত দাস রথীন্দ্রনাথ সেন বিধুভূষণ চৌধুরী কানাইলাল নিয়োগী চন্ডীচরণ সূত্রধর হিতেশ বিশ্বাস সত্যেন্দ্রকুমার দেব কুমুদরঞ্জন দাস সুনীল সরকার তরণী দেবনাথ শচীন্দ্রচন্দ্র পাল বীরেন্দ্র সূত্রধর সুকোমল পুরকায়স্থ কমলা ভট্টাচার্য বিজন চক্রবর্তী জগন্ময় দেব দিব্যেন্দু দাস কৃষ্ণকান্ত বিশ্বাস
স্মৃতিরক্ষা
একুশে বই মেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রথম শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ একুশে পদক ভাষা আন্দোলন দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস মোদের গরব বাংলা ভাষা আন্দোলনের শিল্পসম্মত চিত্রায়ন আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো সালাম সালাম হাজার সালাম একুশে উদ্যান ভাষা শহিদ স্টেশন, শিলচর শিলচর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভাষা স্মৃতিস্তম্ভ






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply