Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বিএনপির দাবি নির্বাচনকে ভন্ডুল করার কূটকৌশল : মোহাম্মদ নাসিম





বিএনপির দাবি নির্বাচনকে ভন্ডুল করার কূটকৌশল : মোহাম্মদ নাসিম

  আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি যে দাবিগুলো করেছে তা শুধু অসাংবিধানিকই নয়, আগামী নির্বাচনকে ভন্ডুল করার কূটকৌশল।


তিনি বলেন, ‘বিএনপি আবারো অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তারা নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙ্গে দেওয়াসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে। তাদের এ দাবি শুধু অসাংবিধানিকই নয়, নির্বাচনকে ভুন্ডুল করার একটি কূটকৌশল। এটি তাদের পুরনো চেষ্টা।’
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম আজ বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কোন ভাবেই এ দেশে বিএনপিকে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করতে দেওয়া হবে না। দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা হবে।
গত শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপির কার্য নির্বাহী কমিটির সভায় দেয়া বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ তার সঙ্গে রয়েছে বলে দাবী করেছেন। তারা সকলে যদি তার সঙ্গে থাকেন তাহলে তার এত দাবী করার প্রয়োজন কি ? নাসিম বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের উস্কানী দিয়েছেন। কারণ তারা কোন দলের নয়, তারা রাষ্ট্রের ও জনগনের লোক। তিনি এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছেন।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে বলেন, আদালত যে রায় দেবে দেশের জনগণ তা দেখবে। কেউ কোন দুর্নীতি করে থাকলে আর আদালতে সে দুর্নীতি প্রমান হলে তার বিরুদ্ধে রায় দেয়ার অধিকার আদালতের রয়েছে।
তিনি বলেন, আদালতের রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। আর হাইকোর্টের সামনে পুলিশের ওপর বিএনপির নেতা-কর্মীরা যে হামলা চালিয়েছে তা দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি মহড়া। এ হামলার মাধ্যমে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা কোন রাজনৈতিক দল নয়, তারা ডাকাত ও ছিনতাইকারীর দল। আদালতের রায়কে সামনে রেখে পুলিশের ওপর হামলা করে তারা শক্তির মহড়া দিয়েছে। ১৪ দল বিশ্বাস করে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে বিএনপির যে কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে প্রতিহত করতে পারেবে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ১৪ দল শুধু আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী নয়, আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক থাকবে। দেশের পাড়া মহল্লায় ও মাঠে ময়দানে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে।
আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী চলমান কর্মসূচীর সঙ্গে সমন্নয় করে বিভাগীয় শহরগুলোকে সমাবেশ করার ঘোষনা দিয়ে বলেন, এ সকল সমাবেশে সরকারের উন্নয়ন ও বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার চিত্র তুলে ধরা হবে।
এর আগে কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহবায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলীপ বড়–য়া, ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় পার্টি(জেপি)’র মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের আহবায়ক মো. রেজাউর রশিদ খান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply