Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » মেহেরপুর সীমান্তে কাটাতারে হার মেনে যায় ভালোবাসা




আবু লায়েছ লাবলু,  //
   মেহেরপুর সীমান্তে কাটাতারে হার মেনে যায় ভালোবাসা

এই ফেব্রুয়ারিতে  বিশ্ব ভালোবাসার মাসে এপার বাংলা ওপার বাংলার মানুষের মনে ভালবাসার নতুন মাত্রা উদয় হয়। দুইদেশের মাঝখানে নদী আর কাটাতার। বিভিন্ন পুজা পার্বনে আর নদীতে গোসলের সময় দেখা হয় দুই বাংলার মানুষের। অল্প সময়েই ঘটে প্রেম। গড়ায় বিয়েতে। কাটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে অনেকেই সংসার করছেন পছন্দের মানুষের সাথে। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কাটাতারে হার মেনে যায় ভালোবাসা। তখন বিরহ বিচ্ছেদে কষ্ট তাদের সঙ্গী। ২০০৪ সালে মেহেরপুর সদর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের হায়াত আলীর সাথে ভারতের নদীয়া জেলার সাহাপুর গ্রামে রশনি দাসের পরিচয়। এরপর ভালোবাসা। পুজা পার্বনে যাওয়া আসাও চলতো। একপর্যায়ে ২০০৬ সালের ধর্ম জাত-পাত ভুলে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে রশনি দাসকে নিয়ে ঘর বাঁধার আশায় ভারতে যাওয়ার সময় বিএসএফের হাতে আটক হয় হায়াত আলী। কিন্তু সুখে সংসার করা হয়নি তার। সীমান্ত পার হওয়ায় বিষয়টি আদালতে গড়ায়। হায়াত আলী ৭ মাস কারাভোগ শেষে বাংলাদেশে পাড়ি দেয়। কিন্তু আজও তাকে ভুলতে পারেনি হায়াত আলী। এখনও সেই তাঁরকাটার ধারেই সময় কাটে তার। অপেক্ষা কবে ফিরবে ভালোবাসার মানুষ। নির্মম কাটাতারের বেড়ার কাছে রশনি হায়াতের মিষ্টি প্রেমের গল্প ব্যর্থ হলেও মেহেরপুর সীমান্ত এলাকায় কাটাতার পেরিয়ে ঘর বেধেছেন এমন জুটিও কম নয়। আবার অনেক বাংলাদেশী মেয়ে ভারতের সীমান্ত গ্রাম গুলোতে ভালবাসার টানে গিয়ে ঘর সংসার করছেন। জেলা শহরের আক্কাস আলীর স্ত্রী মিচরি খাতুন প্রায় বিশ বছর আগে সীমান্ত পেরিয়ে এসে ঘর বেধেছেন তিনি। ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেলেও বাবা, মা ভাই বোনের ভালোবাসা খুজে ফেরেন তিনি। শুধু মিচরি খাতুন নয় মেহেরপুর জেলায় তার মতো অন্তত ৪০টি মেয়ে পালিয়ে এসে ঘর সংসার করছে। পরিবারের মানুষের সাথে দেখা সাক্ষাৎ না হওয়ায় তারা ভালো নেই।  হায়াত আলী বলেন, তারকাটার কারনে ভালবাসার মানুষ কে আমি কাছে পাইনি।তবুও তার জন্য আজও মন কাঁদে।তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম কিন্তু তারকাটার কাছে হার মেনেছে আমার ভালবাসা। মাঝে মাঝে তারকাটার কাছে গিয়ে তার কথা মনে করে বসে থাকি। জানি আর কখনো সে ফিরে আসবে না। তবুও মন মানেনা। সীমান্ত গ্রাম বুড়িপোতার সজল হোসেন বলেন,খালাতো বোন কে ভালবেসে আজো পথ চেয়ে আছে। প্রতিদিনি কাটাতারের কাছে গিয়ে দু”জনে দেখা করলেও ঘর বাধতে পারছেন তারা। কাটাতার যেন তাদের ভালবাসার বড় বাধা। ভারতের নদীয়া জেলার চিৎপুর গ্রামে বসবাস করে তারা।ভালবেসে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখলেও এখন তা দু”স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে তার কাছে। ভালবাসার টানে তারকাটা পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে আসা গৃহবধু মিচরি খাতুন জানান, ২০ বছর আগে ভালবেসে স্বামী আক্কাস আলীর হাত ধরে বিএসএফএর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে পাড়ি জমান। এর বিয়ে, ঘর সংসার। এখানে এসে ভালবাসার মানুষ সহ সব কিছু পেলেও বাবা, মা ভাই বোনের ভালোবাসা খুজে ফেরেন তিনি। ভারতের নদীয়া জেলার চিৎপুর গ্রামের বাসিন্দা সুবেন হালদার মুঠোফোনে জানান, নদীয়া জেলার বিভিন্ন গ্রামে মেহেরপুর জেলার অনেক মেয়ে ভালবেসে চলে এসে ঘর সংসার করছে। বতর্মানে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে সকল সুবিধা ভোগ করছে তারা।  এছাড়াও অনেক বাংলাদেশী মেয়ে ভারতের সীমান্ত গ্রাম গুলোতে ভালবাসার টানে গিয়ে ঘর সংসার করছেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply