সিলেট ও রংপুরে শ্রম আদালত স্থাপন করা হবে : শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শ্রমিকদের ন্যায় বিচার নিশ্চত করেতে সিলেট ও রংপুরে নতুন শ্রম আদালত স্থাপন করা হবে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের একথা জানান। ১১ সদস্য বিশিষ্ট ইইউ’র প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ডেলিগেশন প্রধান জেন ল্যাম্বার্ড।
বর্তমানে বাংলাদেশে ৭ টি শ্রম আদালত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় তিনটি লেবার কোর্ট আছে। কোর্টগুলো একসঙ্গে আছে। কোর্টের আওতা নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ গাজীপুর- এভাবে আলাদা করা যায় কিনা এ রকম একটি চিন্তা-ভাবনা আমাদের আছে। অর্থাৎ কোর্টটাকে শিফট করা। গাজীপুরের শ্রমিক ঢাকায় এসে বিচার পাওয়া খুব কঠিন হয়।
শ্রম আইন সংশোধনসহ বাংলাদেশের শ্রম খাত নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কাছে একটি ড্রাফট পাঠানো হয়েছিল জানিয়ে মুজিবুল হক বলেন, সেটার উপর তারা পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আগামী অধিবেশনে শ্রম আইনটি সংশোধন করা হবে। বর্তমান আইনে, কোন ফ্যাক্টরিতে ট্রেড ইউনিয়ন করতে গেলে ৩০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন লাগবে। এটা আমরা কমাচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রতিনিধি দল মূলত গার্মেন্টস কারাখানা পরিদর্শনের অবস্থা, শ্রম আইন সংশোধন, ইপিজেড শ্রম আইন প্রণয়ন, নারীদের ক্ষমতায়নের বিষয়ে জানতে চেয়েছে। রানা প্লাজা ধসের ঘটনার আগে দেশে পোশাক খাতে ১২০টি ট্রেড ইউনিয়ন ছিল এখন তা ৭০০টিতে পৌঁছেছে। আরও কয়েকশ প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
রিষদ !
No comments: