সামরিক আলোচনার জন্য উত্তরের জবাবের অপেক্ষায় দক্ষিণ কোরিয়া
সিওল: আন্তর্জাতিক শক্তিগুলিকে উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া সামরিক শক্তি বাড়িয়েই চলেছে। একের পর এক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় দেশটির সাথে সামরিক বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিল দক্ষিণ কোরিয়া। পিয়ংইয়ং এই প্রস্তাবে রাজি হলে ২০১৫ সালের পর এটাই হবে দুই দেশের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক।
আলোচনার এ প্রস্তাবের ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়ার এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোরিয়া সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে, তা প্রশমনের জন্যই এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সংলাপের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা অনেকটা কমে আসবে বলেও তিনি আশাবাদী।
এর আগেও বেশ কয়েকবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে পিয়ংইয়নের কাছ থেকে সদর্থক জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে তাঁরা৷ সামরিক আলোচনায় সাড়া দিয়ে উত্তর কোরিয়া খুব শীঘ্রই আলোচনায় বসবে বলে আশাবাদী দক্ষিণ কোরিয়া৷ তবে এখনও দিনক্ষণ কিছু স্থির হয়নি বলে জানা গিয়েছে৷
দক্ষিণ কোরিয়ার শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নেওয়া উত্তর কোরিয়ার দলে ছিলেন উনের বোন কিম ইয়ো জং৷ কোরিয়ান যুদ্ধের পর এই প্রথম উত্তরের ক্ষমতাসীনদের পরিবারের কেউ দক্ষিণে পা রাখলেন৷
তিন দিনের এ সফর থেকে প্রতিনিধি দলটি ফেরত আসার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে কিম উন সরকার৷ প্রকাশিত রাষ্ট্রীয় এক বিবৃতি অনুযায়ী, প্রতিনিধি দলের রিপোর্টে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কিম জং উন৷ তিনি বলেছেন যে, দক্ষিণের আয়োজন খুবই চমৎকার ছিল, যেখানে শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নিতে যাওয়া উত্তরের অতিথিদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে৷
উত্তর কোরিয়া একের পর এক মিসাইল পরীক্ষার পর টানা অনেকদিন উত্তেজনা বিরাজ করে কোরিয়ান পেনিনসুলায়৷ দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক ঠিক হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা বিশ্লেষণের ঝড় বয়ে গেছে বিশ্ব মিডিয়ায়৷
রিপোর্ট অনুযায়ী, শান্তি আলোচনা চালিয়ে নেবার ক্ষেত্রে নতুন করে ভাবছেন কিম জং উন৷ তিনি দুই কোরিয়ার সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বাস্তবায়নযোগ্য ও বাস্তববাদী উদ্যোগ নেবার পক্ষে৷
No comments: