মাদারীপুরের ১৫ দিনের কোর্সেই ডাক্তারি পাস, তৈরি ক্লিনিকও!
মাদারীপুরের রাজৈরে এক শ্রেণির প্রতারক ভুয়া চিকিৎসকের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। ভূঁইফোড় চিকিৎসাবিদ্যার কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ৭ থেকে ১৫ দিনের কোর্স শেষ করা মাত্রই সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিচ্ছেন বড় বড় রোগের চিকিৎসার। এতে রোগীরা প্রাথমিকভাবে সুস্থ হলেও বড় ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।
ইসরাফিল আলম ইসরাইল। মাদারীপুরের রাজৈরের টেকেরহাটের মিল্কভিটা রোডে সাইনবোর্ড টানিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন প্রায় ৬ বছর ধরে। রয়েছে তার ব্যক্তিগত ডজন দুয়েক নামসহ সীল।
শুধু ইসরাফিল’ই নন, তার মত টেকেরহাট বন্দরের বিভিন্ন ওষুধের ফার্মেসিতে দেখা মিলে ভুয়া চিকিৎসকের। শুধু ওষুধের ফার্মেসিগুলোতেই নয়, রাজৈরের বিভিন্ন ক্লিনিকেও বিভিন্ন নামিদামি চিকিৎসকের বিজ্ঞাপন থাকলেও এসব ক্লিনিকে বসেননা কেউ।
ফলে, এসব ভুয়া চিকিৎসকরা ছোটখাটো রোগে চিকিৎসার নামে দিচ্ছেন নানা ধরণের অ্যান্টিবায়েটিক ওষুধ। এমন ঘটনার কথা অকপটে স্বীকারও করলেন তারা। এতে প্রতারিত হচ্ছেন রোগীরা।
ভুয়া চিকিৎসক বলেন, 'নিয়ম অনুযায়ী আমাদের কেউ বলে নাই। এটা করতে পারবে না। এটা লিখতে পারবেন না।'
জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, এসব ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মাদারীপুর সিভিল সার্জন দিলীপ কুমার দাস বলেন, আমার কাছে তথ্য এলে আমি এর উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবো। ভুয়া ডাক্তাররা যেনো কোনভাবেই টিকতে না পারেন তা দেখবো।'
ভুয়া চিকিৎসকদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে বিষয়টি জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসনের শীর্ষ এই কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, 'জেলা আইন শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বতন সদস্যের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। এসব ভুয়া চিকিৎসককে শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।'
রাজৈরের টেকেরহাটে প্রায় অর্ধশত এমন ভুয়া চিকিৎসক রয়েছে। এদের মধ্যে নারীসহ বেশ কয়েকজন সম্প্রতি র্যাবের হাতে আটকের পর জেল-জরিমানা গুণছেন। আর, প্রতিটি ক্লিনিকের মালিককে এ ব্যাপারে নোটিশ দিয়েছে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ।
No comments: