কচুর লতির স্বাস্থ্য উপকারিতা!
কচুর লতিতে প্রচুর আয়রন আছে। এটি প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গর্ভস্থ অবস্থা, খেলোয়াড়, বাড়ন্ত শিশু, কেমোথেরাপি নিচ্ছে এমন রোগীর জন্য কচুর লতি উপকারী। এতে ক্যালসিয়াম আছে পর্যাপ্ত।
ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে ও চুলের ভঙ্গুরতা রোধ করে। ভিটামিন ‘সি’ ও আছে কচুর লতিতে। তা সংক্রামক রোগ থেকে দূরে রাখে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা করে দ্বিগুণ শক্তিশালী। ভিটামিন ‘সি’ চর্মরোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।
এ সবজিতে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশের পরিমাণ বেশি। এ আঁশ খাবার হজমে সাহায্য করে। দীর্ঘ বছরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটি খেলে অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।কিছু পরিমাণ ভিটামিন ‘বি’ হাত-পা, মাথার উপরিভাগে গরম হয়ে যাওয়া, হাত-পায়ের ঝিঁঝিঁ বা অবশ ভাব দূর করে। মস্তিষ্কে সুষ্ঠুভাবে রক্ত চলাচলে ভিটামিন ‘বি’ জরুরি। এতে কোলেস্টেরল বা চর্বি নেই। তাই ওজন কমাতে কচুর লতি উপকারী।
ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হাই ব্লাডপ্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকলে অল্প চিংড়ি মাছ ও কচুর লতি খেতে পারেন মাসে একবার। ডায়াবেটিসের রোগীরা নিঃসংকোচে খেতে পারেন কচুর লতি। আয়োডিনও আছে কচুর লতিতে।
অনেকেই কচুর লতি খান চিংড়ি মাছ দিয়ে। চিংড়ি মাছেও রয়েছে প্রচুর কোলেস্টেরল। যারা হৃদরাগী, ডায়াবেটিস ও উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলজনিত সমস্যায় আক্রান্ত বা উচ্চরক্তচাপে (হাই ব্লাডপ্রেসার) ভুগছেন তারা চিংড়ি ও শুঁটকি মাছ বর্জন করুন
No comments: