Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » আমেরিকায় দিশেহারা বাংলাদেশের অধ্যাপক, গল্প শুনলে চোখে পানি আসবে আপনারও





 আমেরিকায় দিশেহারা বাংলাদেশের অধ্যাপক, গল্প শুনলে চোখে জল আসবে আপনারও

রসায়নের অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করল আইসিই এজেন্ট। বুধবার সকালে সৈয়দ আহমেদ জামাল মেয়েকে স্কুল নিয়ে যাওয়ার জন্য যখন তৈরি হয়ে বেরোচ্ছিলেন,  তখন বাড়ির সামনেই তাঁকে আটকায় অভিবাসন ও শুল্ক দপ্তরের (‌আইইসিই)‌ আধিকারিকেরা। কানসাসের বাড়ি থেকেই ওই রসায়নের অধ্যাপককে হাতকড়া পরিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। নিজের স্ত্রী ও তিন সন্তানকে ভাল করে বিদায় জানানোর আগেই ৫৫ বছরের অধ্যাপকের সঙ্গে গোটা ঘটনাটি ঘটে যায়।
সকলের খুব প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন সৈয়দ আহমেদ। একজন দক্ষ বৈজ্ঞানিক এবং সমাজসেবীর এই পরিণতিতে অবাক অধ্যাপকের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ছাত্র ভিসা নিয়ে সৈয়দ আহমেদ ৩০ বছর আগে আমেরিকায় আসেন। এখানেই তিনি মলিকিউলার বায়োসায়েন্স এবং ফার্মাসিউটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে স্নাতক হন এবং লরেন্সেই নিজের পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করেন। এরই মধ্যে সৈয়দ আহমেদ স্টুডেন্ট ভিসাটিকে পরিবর্তন করে এইচ–১বি ভিসায় রূপান্তরিত করেন। একটি গবেষণামূলক অনু্ষ্ঠানে নিজের নাম নথিভুক্ত করার জন্য সৈয়দ আহমেদ ফের এইচ–১বি ভিসাটিকে ছাত্র ভিসায় রূপান্তরিত করেছিলেন। বর্তমানে তিনি কানসাস শহরের পার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী রসায়নের অধ্যাপক। তিনি বিভিন্ন স্থানীয় হাসপাতালের সঙ্গে গবেষণার কাজেও যুক্ত আছেন।
আইসিই সূত্রে জানা গিয়েছে, সৈয়দ আহমেদ জামালের বিরুদ্ধে কিছু নির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০১৬ সালের নভেম্বরে নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ থেকে ৩ লক্ষ অনথিভুক্ত অভিবাসীদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করে জানিয়েছিলেন, যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে আইসিইর নজরে থাকবে তারা। ২০১১ সালে জামালের ভিসার বৈধতা শেষ হয়ে যায়। আইসিইর পক্ষ থেকে জামালকে ‘‌স্বেচ্ছায় প্রস্থান’‌–এর নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও জামালের কাজের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে আমেরিকাতেই থাকার নির্দেশ দেন অভিবাসন বিচারক। সৈয়দ আহমেদ জামালের বিশ্বাস ছিল তাঁকে এই দেশ থেকে কেউ বিতাড়িত করতে পারবে না। তাঁর তিন সন্তানই মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছে। জামালের পাঁচ ভাইবোন এখানকার স্থায়ী নাগরিক। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী অ্যাঞ্জেলা গতবছরই নিজের একটি কিডনি দান করে এক মার্কিন নাগরিকের প্রাণ বাঁচায়। জামাল নিজে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাই তিনি কোনওভাবেই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নয় বলে জানান জামালের আইনজীবী। সৈয়দ আহমেদ জামালের মামলাটি এখন বিচারাধীন। আদালতের রায়ের পরই জানা যাবে রসায়ন অধ্যাপকের ভবিষ্যত কী হতে চলেছে।     






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply