Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » নিরাময়যোগ্য ক্যান্সার আক্রান্ত ৮০ ভাগ শিশুই মারা যাচ্ছে





নিরাময়যোগ্য ক্যান্সার আক্রান্ত ৮০ ভাগ শিশুই মারা যাচ্ছে

দেশে ১৫ লক্ষাধিক ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর জন্য রয়েছে মাত্র ২৫ জন শিশু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ। এদের মধ্যে ২৩ জনই রাজধানীতে, আর বাকি ২ জন চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন চট্টগ্রাম ও রংপুরে। ফলে রোগ নির্ণয় হতে দেরী হওয়ায় নিরাময়যোগ্য হবার পরও মৃত্যুর কাছে হার মানছে ক্যান্সারে আক্রান্ত দেশের ৮০ ভাগ শিশু।



১১ বছরেই ডান পা কেটে ফেলতে হয়েছে ক্যান্সারে আক্রান্ত রাকিবের। ক্যান্সারের জীবাণু অনেক পরে ধরা পড়ার পর রাকিবকে নিয়ে খুলনা থেকে মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে বারবার ছুটে এসেছেন রাকিবের বাবা। পা কাটার পরও আশঙ্কামুক্ত না হওয়ায় সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রাকিবের বাবা।

তার বাবা বলেন, ছয়টা কেমো এবং ৩০টা থেরাপি দিয়েছে। এত কিছুর পরও ছেলের পা’টা রাখতে পারলাম না।

রাকিব বলছিল, আগে খেলাধুলা করতে পারতাম কিন্তু এখন কিছুই করতে পারছি না।

তার এক আত্মীয় বলছিলেন, সামান্য একটা টিউমার থেকেই তার এ অবস্থা হয়েছে। আগে জানতে পারলে হয়ত এ অবস্থার সম্মুখীন হতে হতো না আমাদের।

আক্রান্ত ১৫ লাখের সঙ্গে প্রতি বছর ১৩ হাজার শিশু নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে ক্যান্সারে। অথচ বাড়তে থাকা আক্রান্তের চিকিৎসায় সরকারের নেই কোন কার্যকরী পদক্ষেপ। এক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে রাজধানীর বাইরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে ১ জন করে শিশু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়নের পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আমিরুল মোরশেদ খসরু বলেন, আমরা যদি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিশু ক্যান্সার রোগীদের পদায়ন করতে পারি তবে আশা করা যায় তারা চিকিৎসা পাবে।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাশেদ জাহাঙ্গীর কবির বলেন, অনেক অভিভাবকই বলেন, দুই দিন আগেও ভালো ছিল এরই মধ্যে ক্যান্সার হয়েছে? এমন প্রশ্ন নিয়ে তারা ‘না’ শব্দটি শোনার জন্য বিভিন্ন জায়গাতে দৌড়াতে থাকেন এবং এরই মধ্যে ক্যান্সার আরও ছড়িয়ে পড়ে। তখন আর কিছুই করার থাকে না।

মৃত্যু হার কমাতে শিগগিরই রাজধানীর বাইরে চিকিৎসা সেবা ছড়িয়ে দেবার আহ্বান জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের।

জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ও অধ্যাপক ডা. মোয়াররফ হোসেন বলেন, ক্যান্সার আক্রান্ত একটি শিশুকে ঢাকায় নিয়ে আসলে অনেকদিন সময় দিতে হয়। অনেকের পক্ষেই এতদিন ঢাকায় অবস্থান করা সম্ভব হয় না। এজন্য আমাদের চিকিৎসার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে শিশু ক্যান্সারের ৭৫ ভাগই নিরাময় সম্ভব। অথচ আর্থিক সমস্যা, সচেতনতার অভাব, চিকিৎসকের তীব্র সংকটসহ নানা কারণে আক্রান্তের ৮০ ভাগের রয়ে যাচ্ছে চিকিৎসার বাইরে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply