: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সুন্দরবন শুধু বাংলাদেশের জাতীয় ঐতিহ্য নয়, দেশ ও জীবন বাঁচানোর জন্য অপরিহার্য। প্রকৃতি যেমন মানুষকে ভালোবাসে তেমনি মানুষেরও প্রকৃতিকে ভালবাসতে হবে।
আজ বুধবার খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে সুন্দরবন দিবস-২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
খুলনা জেলা প্রশাসন, বন অধিদপ্তর, ইউএসএইড বাঘ, অ্যাকটিভিটি, ওয়াইল্ডটীম, রুপান্তর, খুলনা প্রেসক্লাব ও সুন্দরবন একাডেমি যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বাস্তুহারা। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে রয়েছে সুন্দরবন।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সুন্দরবনের ভূমিকা বলার অপেক্ষা রাখে না। সুন্দরবনকে সংরক্ষন না করলে এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করা যাবে না।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে দ্রুত নগরায়নে বসতি সম্প্রসারণের ফলে খালি জায়গা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তাই সুন্দরবনের সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সরকার সুন্দরবন রক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। ২০০১ সাল থেকে সুন্দরবন দিবস পালন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকে সুন্দরবনকে অভয়ারণ্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বাঘ গণনায় বিশ্বের সর্বাধুনিক পদ্ধতি ক্যামেরা ট্রাপিং বা ক্যামেরা ফাঁদের মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা নির্ণয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, সুন্দরবনের মূল আকর্ষণ ট্যুরিজম। গত একবছরে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দরবনে বর্তমান ট্যুরিজমের পাশাপাশি ইকো-ট্যুরিজমেরও ব্যবস্থা করতে হবে।
বন অধিদপ্তর খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান, সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পরে মন্ত্রী খুলনা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে খুলনা বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন।
No comments: