কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এই গ্রহাণু
নিউ ইয়র্ক: রাতেই পৃথিবীর একেবারে কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে একটি বিশাল আকারের গ্রহাণু। মাত্র দিন ছয়েক আগেই এই গ্রহাণু আবিষ্কার করা হয়েছে। এটি পৃথিবীর ২০ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে দিয়ে যাবে। মহাকাশের তুলনায় এই দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। নাসার দাবি, কোনও গ্রহাণু পৃথিবীর ৭ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে দিয়ে গেলেই তা পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে এই গ্রহাণু ৩৮ হাজার কিলোমিটার/ ঘণ্টা বেগে যাব পৃথিবীর কাছ দিয়ে। মনুষ্যচালিত এয়ারক্রাফটের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি গতি এই গ্রহাণুর। এর ডায়ামিটার হল ২১ মিটার বা ৬৯ ফুট। ২৮ ডিসেম্বর আরিজোনার কাছে প্রথম ধরা পড়ে এই গ্রহাণু।
এরপর ১৬ জুন ফের এই গ্রহাণু পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে ক্রিসমাস ডে’তে আরও একবার একটি গ্রহাণু বিজ্ঞানীদের চোখে পড়েছিল। সেটি খুব কাছ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
২৮ ডিসেম্বর বিশেষ গ্রহাণুটির নাম ২০১৭ YZ4৷ বড়দিনের দিন এটি প্রথম পৃথিবীর খুব কাছে আসে৷ পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব প্রায় ২লক্ষ ২৪হাজার কিলোমিটার৷ সেই একই দূরত্বে চলে এসেছিল গ্রহাণুটিও৷
এটি পৃথিবীর পক্ষে বেশ বিপজ্জনক হতে পারে বলে মনে করেছিলেন বিজ্ঞানীরা৷ যদি এটি নির্ধারিত দূরত্ব পেরিয়ে আরও কাছে এসে যায় পৃথিবীর৷ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যদি পৃথিবী এবং গ্রহাণুটির মধ্যেকার দূরত্ব ৭লক্ষ ৪০হাজার ৩০০কিলোমিটারের কাছাকাছি চলে আসে তাহলে তা যে কোনও মুহূর্তে পৃথিবীর উপরে আঘাত আনতে পারে৷
আরিজোনাতে মাউন্ট লেমন সার্ভে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রথম ধরা পরে এই গ্রহাণুর ছবি৷ এই নিয়ে ৫২তম বার এটি পৃথিবীর এত কাছে আসে৷ পৃথিবীর আশেপাশে মোট ১৭হাজার ৩৮৯টি গ্রহাণু ঘোরাফেরা করছে বলে জানাচ্ছেন নাসার বিজ্ঞানীরা৷ এই বছর মাত্র ১৯৮৫টি নয়া গ্রহাণুর আবিষ্কার করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা৷ গত বছর ১৮৮৮টি গ্রহাণু এবং ২০১৫সালে ১৫৭১টি গ্রহাণুর আবিষ্কার করেছিলেন বিজ্ঞানীরা৷ পৃথিবী থেকে ৬মিলিয়ন মাইল দূরত্বের মধ্যে কোনও গ্রহাণু থাকলেই তা পৃথিবীর কাছের গ্রহাণু হিসেবে ধরা হয়৷ যদি এই গ্রহাণু গুলির গতিবিধির মধ্যে আচমকা কোনও পরিবর্তন ঘটে তাহলে সেগুলি যেকোনও মুহূর্তে ভারতের উপর আঘাত আনতে পারে৷
No comments: