রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের প্রতি অনড় : রোজেনব্লুম
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডানিয়েল এন রোজেনব্লুম বলেছেন, সকল সুযোগ-সুবিধাসহ রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে রাখাইন রাজ্যে সঠিক পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের প্রতি দৃঢ়তা অব্যাহত রাখবে।
রোজেনব্লুম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন খুবই কড়া মন্তব্য করেছেন এবং রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছেন। তিনি বলেন, যারা স্বেচ্ছায় ফিরতে চায় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বেসামরিক সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রতি সম্মান দেখানোর জন্যও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, আমরা সোচ্চার থাকব এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাব। এ ভয়ংকর ট্র্যাজেডি মোকাবেলায় বাংলাদেশের মহান ত্যাগের প্রতি আমাদের স্বীকৃতি রয়েছে।
রোজেনব্লুম বলেন, মিয়ানমারের নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে যে অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র তাকে স্বাগত জানায়। তাদের প্রত্যাবাসনে এক চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনা চলছে।
এ সংলাপে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট, বিজ-এর চেয়ারম্যান মুন্সী ফয়েজ আহমদ ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আবদুর রহমানও বক্তব্য রাখেন। এতে পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশ্লেষক এবং সাবেক কূটনীতিকরাও অংশ নেন।
এই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করি আমরা। রোহিঙ্গা শিবিরে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্যও আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করছি।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের বর্বরতার সমালোচনা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বাংলাদেশ সরকারের দ্রুত সাড়া দেয়ার প্রতিও জোরালো সমর্থন জানিয়েছে। পাশাপাশি আমরা গত আগস্ট থেকে ব্যাপক সহায়তাও প্রদান করেছি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করেছে।
রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট বলেন, সকল বিবৃতিতে মিয়ানমারের ওপর গুরুত্বপূর্ণ চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশ যে প্রস্তাব পেশ করেছে- যুক্তরাষ্ট্র তাকে সমর্থন করে।
দ্রুত এ সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
No comments: