Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » গুণে ভরা কমলার রস ও খোসা, যা না জানলেই নয়




  গুণে ভরা কমলার রস ও খোসা, যা না জানলেই নয়



   

কড়া নাড়ছে শীত। এসময় ঠাণ্ডা, কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। এসব শীতকালীন সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে চাইলে নিয়মিত পান করতে পারেন কমলার রস। কমলা যেমন খেতে সুস্বাদু তেমনি রয়েছে এর অনেক পুষ্টিগুণ।



কমলার রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ্এছাড়াও কমলাতে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, মিনারেল, ফসফরাসসহ নানা ভিটামিন।

রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কানাডার একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কমলার রস বেশ কার্যকর। কমলার রসে আছে প্রচুর পরিমাণে হেসপেরিসি যা রক্তের এইচডিএল-এর মাত্রা বাড়ায়। তাই যারা হৃদরোগে আক্রান্ত কিংবা হৃদরোগের ঝুঁকিতে আছেন, তাদের নিয়মিত কমলার রস পান করা উচিত।

রক্তচাপের রোগীর জন্য কমলার রস দারুণ উপকারি। কমলায় বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায় কমলার রস। শরীরের ব্যথা কিংবা কাটা-ছেঁড়া দ্রুত সারাতে নিয়মিত কমলা খেতে পারেন। কমলার রস আলসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি। ঠাণ্ডা বা সর্দি যেন আপনাকে কাবু করতে না পারে সেজন্য নিয়মিত এই ফলটি খেতে পারেন।

কমলার রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মেদ কমাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমাবে এই একটি ফলই।

ত্বক ভালো রাখা, সতেজ রাখার পাশাপাশি বলিরেখা দূর করে কমলা। ভিটামিন সি আয়রন দ্রুত শোষণ করতে সহায়তা করে এবং রক্তশূন্যতার ঝুঁকি কমায়। ফল হিসেবে, জুস কিংবা রান্নাতেও কমলা ব্যবহৃত হয়।


উপকারের কথা চিন্তা করলে ফলটির খোসাও কিন্তু ফেলনা নয় মোটেও। অ্যাসিডিটি দূর করতে কমলার খোসা অত্যন্ত কার্যকর। এর কারণ, খোসার তেলে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি পেটের অ্যাসিডিটি দূরে সহায়তা করে। এছাড়া লিভার ফাংশন ও অন্ত্রকে স্বাভাবিক রাখে এর ডি-লিমোনেন নামক উপাদান।

এক চামচ কমলার খোসার গুঁড়োর সাথে দুই চামচ দই মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্ল্যাকহেডস আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে সামান্য ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। ব্ল্যাকহেডস কমে যাবে।

নিয়মিত কমলার খোসায় তৈরি চা পান করলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, অ্যাজমা ও কাশির সমস্যা উপশমে কাজে লাগে।

ত্বকের কালো দাগছোপ দূর করে ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এক চামচ কমলার খোসা, এক টেবিল চামচ দই ও সামান্য মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে প্যাকটিতে এক চামচ অলিভ ওয়েল কিংবা নারিকেল তেল মেশান।

কফ ও পিত্তের সমস্যায় কমলার খোসা বেশ উপকারী। প্রথমে কমলার খোসা পাতলা করে ছিলে নিয়ে গ্রেটার করে নিন। রঙ চায়ে খোসা কুচি করে দিন। চাইলে এর সঙ্গে খানিকটা আদা দিতে পারেন।পানি ফুটে আদা এবং কমলার গন্ধ ছড়ালে নামিয়ে চা হিসেবে পান করুন। ইচ্ছে হলে মধুও মেশানো যাবে।

ক্লান্তিহীন সুন্দর ত্বক পেতে সমপরিমাণ হলুদের গুঁড়ো, মধু এবং কমলার খোসার মিশ্রণে পেস্ট বানিয়ে মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

ঘরোয়া জানালা এবং ফ্লোর পরিষ্কারক বানাতে পারেন কমলার খোসা দিয়ে। একটি গ্লাসের জগে কমলার খোসা নিয়ে তাতে ভিনেগার ঢেলে ঢেকে দিন। কয়েক সপ্তাহ এভাবে ফ্রিজে রেখে দিন এবং মাঝে মাঝে নেড়ে দি







«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply