Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » দ্রুত ওজন কমাতে কলার খোসা




নতুন বছরে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলতে চান কি?

নতুন বছরে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলতে চান কি?
কী বন্ধু নিউ ইয়ার সেলিব্রেশন নিশ্চয় শুরু হয়ে গেছে? আর সেলিব্রেশন যখন চলছেই তখন নিশ্চয় খাওয়া-দাওয়াও বেশ জোর কদমে হচ্ছে! আর পেট পুরে খাওয়া মানেই ওজন বৃদ্ধি পাওয়া! সেই কারণেই তো আজ এই প্রবন্ধে এমন কিছু খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা নিয়মিত খেলে অতিরিক্তি ওজন ঝরে যেতে একেবারেই সময়ই লাগে না।
ওজন বৃদ্ধি আজকের ডেটে আমাদের দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা। কারণ শরীরে চর্বি জমতে থাকলে দেহের অন্দরে এমন নেতিবাচক পরিবর্তন হতে শুরু করে যে একাধিক রোগ ধীরে ধীরে শরীরে এসে বাসা বাঁধতে থাকে। এক্ষেত্রে একেবারেই প্রথমেই কোলেস্টেরলের মাত্র বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে হার্টের রোগ, রক্তচাপ বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিস তো আছেই!
তাই কব্জি ডুবিয়ে যতই খাওয়া দেওয়া করুন না কেন, ওজন যেন নিযন্ত্রণের মধ্যে থাকে, না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ! ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত ওজনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন! কারণ যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে এই লেখায় এমন কিছু খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা আমাদের মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে দেয়।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই মধ্যপ্রদেশে জমে থাকা চর্বির স্থর কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে রোজের ডায়েটে যে যে খাবারগুলির অন্তর্ভুক্তি মাস্ট, সেগুলি হল...

১. গ্রিন টি: এই পানীয়টিতে উপস্থিত "ইজিসিজি" নামক এক উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর ফ্যাট সেলেদের ঝরাতে শুরু করে। ফলে ওজন কমাতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, আরেকভাবেই গ্রিন টি ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। কীভাবে? এই চায়ে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পলিফেনল, যা হজম ক্ষমতাকে এমন বাড়িয়ে দেয় যে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার কোনও সুযোগই থাকে না। তবে ভুলেও দিনে ২-৩ কাপের বেশি গ্রিন টি খাবেন না যেন! কারণ বেসি মাত্রায় এই পনীয়টি সেবন করলে শরীরের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
২. কোকা: হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে উপস্থিত একাধিক উপাকারি উপাদান একদিকে যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে, তেমনি রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং ব্রেন পাওয়ার বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, কোকা সমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট যদি নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ কমতে থাকে। কারণ কোকা আমাদের মস্তিষ্কের অন্দরে সেরাটোনিন নামে এক ধরনের ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে মানসিক অবসাদ ঘারে চেপে বসার সুযোগই পায় না।

৩. হলুদ: একেবারে ঠিক শুনেছেন! প্রায় হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই প্রকৃতিক উপাদানটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। আসলে হলুদের শরীরে থাকা কার্কিউমিন এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, কার্কিউমিন যে শুধু ওজন কমায় তা নয়, এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টটি শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দিয়ে একাধিক মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাকে একেবারে কমিয়ে দেয়। সেই কারণেই তো নিয়মিত হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন:

৪. বাদাম: নিয়মিত এক মুঠো করে বাদাম খেলে শরীরে মনো এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে, যা রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে একদিকে যেমন হার্টকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ নেয়, তেমনি ওজন হ্রাসেও সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, বাদামে উপস্থিত ফাইবারও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয়। আসলে দেহের অন্দরে এই উপাদানটির মাত্রা যত বাড়তে থাকে, তত ক্ষিদে কমে যায়। ফলে বারে বারে খাওয়ার প্রবণতা কমতে থাকায় ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৫. আপেল: নতুন বছরে ওজন কমাতে যদি বদ্ধপরিকর হন, তাহলে নিয়মিত একটা করে আপেল খেতে ভুলবেন না যেন! আসলে এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত পেকটিন নামক উপাদানটি অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়ার পরিমাণ কমতে শুরু করে। আর এমনটা হলে শরীরে ক্যালরির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, আপেলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং ফাইবারও নানাভাবে শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬.কলা: পটাশিয়ামের পাশাপাশি কলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় রেজিসটেন্স স্টার্চ, যা ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে রেজিসটেন্স স্টার্চ হজম হতে সময় লাগে। ফলে বারে বারে খাওয়ার প্রবণতা কমতে শুরু করে। আর এমনটা হলে যে ওজনও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রসঙ্গত, লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং শরীরকে সার্বিকভাবে রোগ মুক্ত রাখতেও এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply