Description: গাছ বা মূলের (ত্বক) পাতা ও ফল। অর্জুন গাছের ছাল সংগ্রহ করতে পূর্বের দিকের ছালটা নিতে হয়; কারণ পূর্বের দিকের বায়ুর তরলত্ব বেশী, ওদিকের ছালটা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াকারিত্বেও অনুকূল। সকালের রৌদ্র ও সেদিককার ছালটায় রঞ্জনরশ্মি বেশী সমৃদ্ধ হয়, প্রয়োগ ক্ষেত্র
ঔষধি গুনাগুণ :
লো- ব্লাড্প্রেসারে- উপরিউক্ত পদ্ধতিতে তৈরী করে খেলে প্রেসার স্বাভাবিক হয়।
রক্তপিত্তে- মাঝে মাঝে কারণ বা অকারণে রক্ত ওঠে বা পড়ে; সে ক্ষেত্রে ৪/৫ গ্রাম ছাল রাত্রিতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওটা সকালে ছেকে নিয়ে পানিটা খেতে হয়।যৌনরোগে : পুরুষের জনন যন্ত্রাদি হলো অ-কোষ বা স্ক্রেটাম এবং তাতে অবস্থিত দুটি অ- বা টেসটিস, শুক্রবাহী নালি, প্রস্টেট গ্রন্থী, শুক্রথলি বা সেমিন্যাল ভেসিকল এবং যৌনইন্দ্রিয়. পুরুষের শুক্রকীট সৃষ্টি হয় অ-দ্বয় বা টেসটিসে আবার অ- দুটি থেকে হরমোন নিঃসৃত হয়, যা পুরুষের যৌনতাকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাদের নাম হলো টেস্টোস্টেরোন এবং এন্ড্রোজেন. নিয়মিত অর্জুন ছাল, অর্জুন ফল, অর্জুন মূল দ্বারা তৈরিকৃত সিরাপ সেবনে টেস্টোস্টেরোন এবং এন্ডোজেন হরমোন সঠিকভাবে নিঃসৃত হতে সহায়তা করে। যাদের মধ্যে একান্ত নিবাসে অনীহা (Lack of Libido) দেখা দেয় তাদের ক্ষেত্রে অর্জুনের ছাল চূর্ণ উপকারী। এই ছাল চূর্ণ দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত খেলে এই রোগ দূর হয়।
কান ব্যথায়: পাতার টাটকা রস কর্ণ প্রদাহনাশক ও দেহ অভ্যন্তরের বিষক্রিয়া নষ্ট হয়।
হজম ক্ষমতা বাড়ায়: ডায়রিয়া বা পেটের অন্য কোনো সমস্যা দেখা দিলে অর্জুনের ছাল ৪৫-৩০ গ্রাম করে খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও অসুবিধা দূর হয়।
জ্বর নিবারক: অর্জুন ছাল সংকোচক ও জ্বর নিবারক হিসেবেও কাজ করে।
No comments: