আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ গ্রহণ করবে : মেনন
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও নবনিযুক্ত সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ গ্রহণ করবে।
তিনি আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এতে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
রাশেদ খান মেনন দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে হবে। এবারো আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মহাজোট নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো।’ বিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচন করলে উন্নয়নের ধারা ব্যাহত হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে মেনন বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলের ঐক্যের ব্যাপারে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব বা সন্দেহের অবকাশ নেই। জাতীয় নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে দরকষাকষি হতে পারে, শেষ পর্যন্ত আমরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল মহাজোটের অধীনে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো।
গণতন্ত্র ও উন্নয়ন সব ক্ষেত্রে ঐক্য প্রয়োজন উল্লেখ করে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আরও বলেন, নির্বাচনে বিজয় লাভ করতে হলে এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের নতুন দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, এখানে জননিরাপত্তা ও কল্যাণের বিষয়টি রয়েছে। এখানে দায়িত্ব অনেক বেশি।
তিনি বলেন, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রলায় একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল, সেখান থেকে বেরিয়ে এসে এই মন্ত্রণালয় পরপর ৩ বছর লাভ করেছে। পর্যটন খাতও একটি শিল্পে রূপান্তরিত হয়েছে। তেমনিভাবে নতুন মন্ত্রণালয়েও তিনি সফল হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মেনন বলেন, দেশ এগিয়ে চলেছে এক ধারাবাহিক উন্নয়নের পথে। বর্তমানে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৬ এর বৃত্ত পেরিয়ে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় এখন ১ হাজার ৬ শ’ ডলারের উপরে। দারিদ্রের হার ২০০৫ এর ৪৫ ভাগ থেকে ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে গ্রামের মানুষের ঘরে ঘরে। যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা নির্বাচনের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায্যতা ও সমতা প্রতিষ্ঠাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশবাসীর অবগতির জন্য ওয়ার্কার্স পার্টির ২১ দফা কর্মসূচি উপস্থাপন করেন। এসব কর্মসূচির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হলো- খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ; কর্মসংস্থান, দারিদ্র বিমোচন ও মর্যদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করা।
No comments: