Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » বেগুনি ফল-সব্জিতে দূরে থাকুক আলসার ও ক্যানসার





 বেগুনি ফল-সব্জিতে দূরে থাকুক আলসার ও ক্যানসার


প্রাকৃতিকভাবে রঙিন খাবার খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকরা সবসময়ই দিয়ে থাকেন। প্রাকৃতিক খাবারের প্রাকৃতিক রঞ্জক পদার্থ আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারি। যেসব খাবারে প্রাকৃতিক রঞ্জক পদার্থ রয়েছে তার মধ্যে বেগুনি রঙের খাবারগুলতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। আমাদের স্বাস্থ্যরক্ষায় এগুলো বিশেষভাবে সাহায্য করে। বেগুনি খাবারের রেসভারেট্রল আমাদের দেহে ক্যানসার কোষ নষ্ট করতে সাহায্য করে থাকে।


purple food

লিভার ভাল রাখতে বেগুনি রঙের খাবার বেশ সহায়তা করে থাকে। মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল পানকারীদের এই ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। বেগুনি খাবারে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লিভারের কোষগুলোকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে।

বেগুনি আঙুর, ব্ল্যাকবেরি, জাম, বিটের মতো খাবার দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে।

এক ধরনের অ্যান্থোসায়ানিন পাওয়া যায় ব্ল্যাকবেরিতে। আলসার ঠেকাতে এটি সাহায্য করে। কোরিয়া ইউনিভার্সিটির কলেজ অব লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির একটি পরীক্ষায় এমনটা দেখা গেছে।

বেগুনি রঙের গাজর, বাঁধাকপি, ফুলকপিতে অ্যান্থোসায়ানিন থাকে প্রচুর পরিমাণে যা ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন রোধে সাহায্য করে।

ফ্রি-র‌্যাডিক্যাল কমাতেও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সাহায্য করে থাকে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিয়ে ত্বক সতেজ, সুস্থ, প্রাণবন্ত করে এবং ত্বকে বলিরেখা পড়তে বাধা দিয়ে থাকে।

বেগুনি রঙের প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণে দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এর ফলে মাইগ্রেইন, ইনসমনিয়া, অবসাদের সমস্যার সম্ভাবনা কমে। এই ধরনের খাবারে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় স্মৃতিশক্তিও বাড়ে। এছাড়াও এই রঙের খাবার পেশীর ক্ষয় রোধ এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

রান্না, সালাদ, সেদ্ধ, গ্রিল, স্টীম, কাঁচা বিভিন্ন ভাবে ফল-সবজি খাওয়া যায় তবে প্রতিদিন পাঁচ রঙের ফল-সবজি খেতে চেষ্টা করুন। এতে শরীর সঠিক পুষ্টি পাবে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় বেগুনি, সবুজ, হলুদ, লাল, সাদা, কমলা ইত্যাদি রঙের ফল-সবজি রাখুন।

পরিশেষে বলা যায়, শরীরের প্রয়োজন-অপ্রয়োজনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে খাদ্যতালিকায় ফল-সবজির স্থান দিতে হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply