বইয়ের পাহারাদার হতে হবে সাহিত্যিকদেরই, বইমেলার উদ্বোধনে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
ইতিহাস বিকৃতি রুখতে এগিয়ে আসতে হবে সাহিত্যিকদের। বইয়ের পাহারাদার হিসাবে সজাগ থাকতে হবে তাঁদের। মঙ্গলবার ৪২তম আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে লেখক শিল্পীদের প্রতি এই আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বইয়ের পাহারাদার আপনারা। দেখবেন বইয়ের বিকৃতি যেন কেউ করতে না পারে। ইতিহাস যেন বিকৃত না হয়। আপনারা নজর রাখুন।” দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ইতিহাস বিকৃতি নিয়ে যখন নানাবিদ অভিযোগ উঠছে, সেসময় দেশ বিদেশের প্রতিনিধিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সাহিত্যিক থেকে রাজনৈতিক মহল। এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাচীন, আধুনিক ও সামাজিক ইতিহাস বইতেই লিপিবদ্ধ থাকে। শিক্ষা-সংস্কৃতি-সভ্যতা-মানবিকতার আলো দেখায় বই। বই ছাড়া পৃথিবী ধ্বংশ হয়ে যাবে। এই বইয়ের বিকৃতি আটকাতেই সচেষ্ট হতে সাহিত্যিকদের এগিয়ে আসতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সল্টলেকে এদিন শুরু হল আন্তর্জাতিক বইমেলা। চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এদিন মেলার উদ্বোধন করেন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন এবারের থিম কান্ট্রি ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার সিগলা। ওই দেশের তিন সাহিত্যিক। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী। ছিলেন সাংস্কৃতিক জগতের ব্যক্তিত্বরা। এদিন স্বাগত ভাষণে বুকশেলার্স ও পাবলিসার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশুশেখর দে বলেন, সল্টলেকে মেলা করার নিয়ে প্রাথমিকভাবে সংশয় ছিল। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে জাদুমন্ত্রে ১২ একরের মতো মাঠ তৈরি হয়ে গেল। তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিয়ে এ কাজ সম্ভব হত না।
মেলা মাঠে এদিনই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সিইএসসি সৃষ্ঠি সম্মান পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ফ্রান্সের অন্যতম সম্মান লিজিওন অফ অনার পুরস্কার পেয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতা বলেন, “এই সময়েও গ্রন্থের সঙ্গে গ্রন্থি দেখলে ভাল লাগে। বইমেলার প্রতি মানুষের আকর্ষণ আশ্বস্ত করে। মনে হয় সব কিছু হারায়নি। এখনও কিছু জিনিস টিঁকে আছে। যার জন্য বাঁচা যায়।”
No comments: