শাসনতন্ত্রের বদল চাইছেন ইরানি জনতা
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতায় ইরানে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তাই এখন সরকার উৎখাতের দাবি করছে। আর সেই দাবি ঘিরে উত্তাল ইরান। রাস্তায় নেমেছে সেনা। এখনও পর্যন্ত ৪৫০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। তবে পরিস্থিতি এখন কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেছে
সরকার। গত সপ্তাহে ডিমের দাম বাড়া এবং আগামী বছরের বাজেটে জ্বালানি তেলের দাম বাড়নোর বিরোধিতা করে অনেকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মতামত দেন। অনেকে আবার দেশে কাজের সুযোগ কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাছাড়া লাইসেন্সহীন সংস্থায় বিনিয়োগ করে কীভাবে তাঁরা টাকা খুইয়েছেন তারও বিশদ দিতে থাকেন ইরানের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট টেলিগ্রামে। আর এভাবেই বিক্ষোভ মোর নেয় দুর্নীতি বিরোধিতায়। যা সরকার বিরোধিতায় পর্যবসিত হয়। ১৯৭৯ সাল থেকে ইরানে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা চলছে। যার এক মেরুতে রয়েছেন ধর্মীয় গুরু তথা শীর্ষতম নেতা আয়তোল্লা খামেইনি, আর অন্যপ্রান্তে রয়েছেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি। তাঁদের অপসারণ চেয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ২০০৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরে তাঁর অপসারণ চেয়ে পথে নেমেছিল জনতা। এবার পুরো শাসনতন্ত্রেরই বদল চাইছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে সোমবার। ‘সশস্ত্র বিক্ষোভকারীরা’ সেনা ছাউনি আক্রমণ করে বলে টিভিতে খবর প্রচার করা হয়। প্রেসিডেন্ট রৌহানি জাতীয় একতার ডাক দিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা তাতে কান দেয়নি।
No comments: