মাদক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সংলাপ প্রয়োজন : মোস্তাফিজুর রহমান
মাদক দ্রব্য নির্মূলে জাতীয় ঐক্যমতের উপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সংলাপ প্রয়োজন।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ নয়, নির্মূল করতে হবে। এর জন্য জিরো ট্রলারেন্সের নীতিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, সমাজ থেকে মাদকদ্রব্য নির্মূলের জন্য সকলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন। এজন্য দরকার দল-মত নির্বিশেষ জাতীয় সংলাপ। সংলাপের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করলে ভয়াবহ এ ব্যাধিকে নির্মূল করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, এতোদিন শুধু ছেলেরা মাদকদ্রব্য সেবন করতো, এখন মেয়েরাও করছে। এটা বন্ধ করতে হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, এ মরণব্যধি মাদক নির্মূলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছা রয়েছে। বর্তমান সরকার জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে যেমন সফল হয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণেও তেমনি সফল হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, সমাজ থেকে এ অভিশাপ দূর করতে হলে কার ছেলে- কার মেয়ে মাদকের সঙ্গে জড়িত তা বিবেচনায় নিলে হবে না।
টিপু মুন্সি বলেন, দেশে জনসংখ্যার ৭০ লাখ মাদকাসক্ত। এটা আরও বাড়তে পারে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের যে সীমিত ক্ষমতা তা দিয়ে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। এজন্য সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতা প্রয়োজন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আমাদের অধিকতর চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আগে ফেনসিডিল ভয়ঙ্কর ছিল এখন ইয়াবা। আইন সংশোধন করে ইয়াবা বহনকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা যত শক্তিশালী হোক না কেন আমরা কাউকে ছাড় দেবো না, আশ্রয়ও দেব না। আগামী একবছরে অন্তত ৫০জন গডফাদারকে গ্রেফতার করা হবে।
মহাপরিচালক বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমাদের জনবল কাঠামো বাড়ানো হয়েছে। তাদের হাতে ক্ষুদ্র অস্ত্র দেয়ারও নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
No comments: