‘ব্রিটেনে আমি খুব জনপ্রিয়’, ফের নিজের গুণগান ডোনাল্ড ট্রাম্পের
: এক বছরের মধ্যে তিনি দেশে কার্যত খলনায়ক। জনপ্রিয়তা হু হু করে নামছে। মার্কনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিয়ত চলছে মুণ্ডপাত। এহেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপলব্ধি তিনি ব্রিটেনে খুব জনপ্রিয়। নিজের ঢাক পেটাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জুড়ি নেই। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে তাঁকে ব্রিটেন সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ট্রাম্প যদি এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন তাহলে বড়মাপের বিক্ষোভের মুখে পড়বেন। নিজস্ব ভঙ্গিমায় তিনি জানিয়ে দিলেন গোটা ব্রিটেনে তাঁর অসংখ্য অনুরাগী রয়েছে। অতএব চিন্তা নেই।
সম্প্রতি প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ারস মরগ্যানের উপস্থাপনায় আন্তর্জাতিক টেলিভিশন সাক্ষাৎকার দেন ট্রাম্প। সেখানে একই সঙ্গে ব্রিটেন ও নিজের গুণগান করেছেন তিনি। বলেছেন, আমি জানি, আমি যা বিশ্বাস করি, তাইই করে দেখাই। আমি মনে করি, তোমার দেশে আমার দারুণ জনপ্রিয়তা রয়েছে। তোমার দেশে আমার বহু অনুরাগী রয়েছে। তাদের তরফ থেকে মেল পাই। তাঁরা আমার নিরাপত্তার বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখে। বিভিন্ন বিষয়ে করা আমার মন্তব্যে তাঁদের রীতিমতো আগ্রহ রয়েছে। ব্রিটিশদের থেকে আমরা ব্যাপক সমথর্ন পেয়েছি। আমি হচ্ছি সেই মানুষ যে ব্রিটেনকে ভালোবাসে। সমগ্র গ্রেট ব্রিটেনের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে। বিজয়ী হওয়ার সবথেকে বড় সমস্যা হল, ইচ্ছেমতো প্রিয় জায়গায় যাওয়া যায় না। যদিও আমি সেখানে বার বার যেতে চাই।
ট্রাম্পের প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিভিশন সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন কলামনিস্ট মরগ্যান। ২০০৮ থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে মরগ্যানের যোগাযোগ। উল্লেখ্য, আলটপকা মন্তব্য করে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রায়ই বিতর্কের মুখে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কখনও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির শরণার্থীদের আমেরিকায় ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা চাপান, কখনও প্রতিবেশী মেক্সিকোর সঙ্গে পাঁচিল তোলা নিয়ে তরজায় মাতেন। এখন পাকিস্তান তাঁর রোষনলে। হোয়াইট হাউসে তাঁর পূর্বসূরীদের পাগল বলতেও ছাড়েননি। সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছে তাঁর নাম। রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধি নিকি হ্যালের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন আবহে ব্রিটিশদের কাছে নিজের জনপ্রিয়তা বোঝাতে ট্রাম্পের এই ‘স্বঘোষিত’ মন্তব্য বিরোধীদের কাছে নতুন অস্ত্র তুলে দিল।
No comments: