Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » লাস ‌ভেগাসের বন্দুকবাজ এক ব্যাঙ্ক ডাকাতের পুত্র!





লাস ‌ভেগাসের বন্দুকবাজ এক ব্যাঙ্ক ডাকাতের পুত্র!


 লাস ভেগাস: কথায় বলে বাপ কা বেটা। সেই প্রবাদ সত্যি করল স্টিফেন প্যাডক। জঙ্গি যোগের প্রমাণ মেলেনি। পুলিসের খাতায় স্টিফেন প্যাডকের নাম ছিল না। মানসিক রোগীও নন। নেভাডায় বান্ধবীর সঙ্গে অবসরজীবন কাটাচ্ছিলেন। রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা ভালই চলছিল। তাহলে স্টিফেন প্যাডক কেন মিউজিক ফেস্টিভ্যালে হত্যালীলা চালালেন?‌ উত্তর খুঁজতেই বেরিয়ে এসেছে অতীতের বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, স্টিফেনের বাবা বেঞ্জামিন হসকিনস প্যাডক ব্যাঙ্ক ডাকাতির আসামি, চুরি– জোচ্চুরিতেও দড় ছিলেন। এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড দুষ্কৃতীদের তালিকায় নাম ছিল। আত্মহত্যার প্রবণতা ছিল মানসিক রোগী বেঞ্জামিনের। ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় জেল হয়। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই, ১৯৬৯ সালে জেল থেকে পালান। সন্ধান চালিয়ে ১৯৭৮ সালে অরিগন থেকে তাকে পাকড়াও করে এফবিআই। এহেন বাবার ‘‌গুণধর’‌ ছেলে স্টিফেন রবিবার রাতে লাস ভেগাসের মিউজিক ফেস্টিভ্যালে হামলা চালিয়ে ৫৯ জনকে খুন করেছেন। আহত ৫২৭। কিন্তু কেন স্টিফেন এই কাণ্ড ঘটালেন, তা জানা যায়নি। নেভেডা ও ম্যাসকুইটে স্টিফেন প্যাডকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিস প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক, গোলাগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে। বেশ কিছু বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশও পাওয়া গেছে। গাড়িতে লুকোনো ছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। মান্দালয় বে রিসর্টের যে ঘরে স্টিফেন ছিলেন, সেখান থেকে ২৩টি আগ্নেয়াস্ত্র আর প্রচুর কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। স্টিফেনের মজুত করা আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরকের নাগাল পেয়েছে পুলিস। ২৮ সেপ্টেম্বর বেশ কয়েকটা বাক্সপ্যাঁটরা নিয়ে রিসর্টে উঠেছিলেন তিনি।

লাস ভেগাসের ঘটনার পর আমেরিকার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের শিথিলতা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আত্মরক্ষার জন্য সে দেশে অনেকেই আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পান। সেভাবেই নিজের বাড়িতে প্রচুর অস্ত্র মজুত করেন প্যাডক। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ক্ষমতায় থাকতে আগ্নেয়াস্ত্রের অপব্যবহার রুখতে চেষ্টা চালান, কিন্তু সফল হননি। আর এ ব্যাপারে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। এদিকে ‘‌দাদার কীর্তি’‌ শুনে বিস্মিত স্টিফেনের ভাই এরিক প্যাডক। স্টিফেন নেভেডায় বান্ধবীর সঙ্গে থাকেন। বিমান চালানোয় পটু। তাঁর দুটো ছোট বিমান আছে। শিকারের শখ মেটাতে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স সংগ্রহ করেছেন। জুয়ার আসরে দেদার টাকা ওড়ান। টেনিস, গলফ আর ভিডিও পোকার নিয়েই ব্যস্ত। রাজনীতি, ধর্মকর্ম নিয়ে মাথা ঘামান না। দাদা সম্পর্কে এসবই জানতেন ভাই। কিন্তু দাদার খুনিপ্রবৃত্তির নাগাল পাননি এরিক। তাই রবিবার রাতের ঘটনায় জোর ধাক্কা খেয়েছেন তিনি। বলেছেন, দাদা হঠাৎ করে কেন এমন মারমুখী হয়ে উঠলেন, তা তাঁর জানা নেই। এরিকের মতোই ঘটনায় অবাক স্টিফেন আর মেরিলু ড্যানলির প্রতিবেশীরা। ‌‌‌






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post