পরিচয়পত্র পেয়ে খুশি রোহিঙ্গারা
মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র ঠাঁই পাওয়া নতুন রোহিঙ্গাদের অনেকেই অস্থায়ী পরিচয়পত্র হাতে পেয়ে বেজায় খুশি। জাতি-নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার কষ্টও তাঁরা ভুলে গিয়েছেন পরিচয়পত্র হাতে নিয়ে। এই পরিচয়পত্র ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরে অবস্থান নেওয়া ছাড়াও চিকিৎসা এবং রেশন প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। গত ক’দিনের সমীক্ষা শেষে এই পরিচয়পত্র দেওয়া শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ। মহিউদ্দিন নামের এক রোহিঙ্গা জানালেন, মায়ানমারে জন্মের পরে তাঁদের নাগরিকত্বের সনদ দূরে থাকুক, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাধারণ সনদও জোটেনি। সেখানে রাষ্ট্রপুঞ্জের তদারকিতে অস্থায়ী পরিচয়পত্র তাদের কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি।
কর্তৃপক্ষ জানান, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে তৈরি করা হয়েছে এই পরিচয়পত্র। আর এই কার্ড নিতে এখন রোজই রোহিঙ্গাদের লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধি-দফতরের উপ-পরিচালক তাইজুল ইসলাম জানান, রোহিঙ্গাদের মানবিক অধিকার নিশ্চিত করতেই এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। সরকারি কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, কার্ড সংগ্রহের পরে বোঝা যাবে, এ বারে বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে কত জন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় নিয়েছে। পরিচয়পত্রে ব্যক্তির নিজস্ব নম্বর, নাম, বয়স, মা-বাবার নামের সঙ্গে নাগরিকত্ব হিসেবে মায়ানমার উল্লেখ করা হয়েছে।