রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে মরিয়া মেসি, রোনাল্ডো না দেখতে পাওয়া যায়
কেমন লাগবে, যদি সামনের বছর রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে না দেখতে পাওয়া যায় কোনও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বা লিওনেল মেসিকে? বা দু’জনকেই? বিশ্বকাপটা কি একইরকম থাকবে?
ফুটবলপ্রেমীরা হাঁ হাঁ করে উঠবেন শুনলেই। মেসি–রোনাল্ডোকে ছাড়া বিশ্বকাপ! ধুস, তা–ই আবার হয় নাকি! আরে ওঁদের দেখতেই তো মুখিয়ে থাকবে গোটা বিশ্ব। দু’জনেই তো সম্ভবত শেষবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন। জীবনের শেষ বিশ্বকাপে কি ওঁদের জ্বলে উঠতে দেখা যাবে না?
দু’জনের মধ্যে কিছুটা হলেও সুবিধেজনক স্থানে রয়েছে পর্তুগাল। নিজেদের গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থাকায়, না জিতলেও অন্তত প্লে–অফ খেলার সুযোগ পাবে তারা। জিতলে সরাসরি বিশ্বকাপে যাবে। কিন্তু আর্জেন্টিনাকে যে–কোনও মূল্যে জিততেই হবে। তা হলে অন্তত প্লে–অফের স্থানটা নিশ্চিত হবে। আর হারলে বা ড্র করলে, নির্ভর করে থাকতে হবে বাকিদের ওপর।
শুধু তা–ই নয়, পরিস্থিতিও ‘অ্যালবিসেলেস্তে’র প্রতিকূলে। একে তো খেলতে হবে অ্যাওয়ে ম্যাচে, তা–ও আবার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯,১২৭ ফুট উঁচুতে। ২০০১–এর পর থেকে যেখানে জেতেনি আর্জেন্টিনা। পরে হেরেওছে দু’বার। কিছুদিন আগেই বলিভিয়ার লা পাজে খেলতে গিয়ে অক্সিজেন মাস্ক পরতে হয়েছিল ব্রাজিলের ফুটবলারদের। আর্জেন্টিনা তো ওখানে গিয়ে হেরেও এসেছে। ফলে লড়াই মোটেই সহজ নয়। এই পরিস্থিতিতে, মরণবাঁচন ম্যাচে আর্জেন্টিনার বাকি ফুটবলারদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন অস্কার তাবারেজ, যিনি কিনা আবার উরুগুয়ের কোচ। তাঁর দল এদিন ড্র করলেই পৌঁছে যাবে বিশ্বকাপে। কিন্তু ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে অনেকটা অংশই জুড়ে ছিল মেসি–প্রসঙ্গ। তাবারেজ বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ খেলতে না পারা মানে মেসির কেরিয়ারে কালো দাগ লেগে যাবে, এমনটা নয়। ফুটবলের ইতিহাসের এমন অনেকে আছে যারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নয়, কিন্তু তাতে ওদের কেরিয়ারে কালো দাগ পড়েনি। আর্জেন্টিনার হয়তো যোগ্যতা অর্জন করতে সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু একবার করে গেলে তখন কিন্তু ওরা বিশ্বকাপ জিততেও পারে।’ নীল–সাদাদের প্রাক্তন খেলোয়াড় মারিও কেম্পেস আবার জানিয়েছেন, বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার না থাকাটা বিপর্যয়। পাশাপাশি সমালোচকদের একহাত নিয়ে বলেছেন, ‘মেসি যদি বিশ্বকাপে না যেতে পারে, তা হলে সবথেকে খুশি হবে মারাদোনা–সমর্থকরা। কারণ এইভাবেই ওরা মারাদোনাকে সেরা প্রমাণ করতে পারে।’
একই দিনে নামছে ব্রাজিল এবং চিলি। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচ চিলির কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলেও, ব্রাজিলের কাছে নিয়মরক্ষার। তাই ফুরফুরে নেইমার এবং দানি আলভেজ দেখা করতে গেলেন কিংবদন্তি রোনাল্ডো নাজারিওর সঙ্গে। একসঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা গেছে। চিলির তারকা অ্যালেক্সিস স্যাঞ্চেজও টোটকা নিয়ে এলেন প্রাক্তন তারকা মার্সেলো সালাসের থেকে। এই ম্যাচে গোলকিপার বদল করতে চলেছেন টিটে। অ্যালিসনের বদলে খেলাবেন এডারসনকে। ডিফেন্সে ফিরছেন মার্কুইনহোস।