একাধিক রোগ প্রতিরোধে মোচা তুলনাহীন
মোচা ম্যাজিক
ব্যুরো: হিমোগ্লোবিন কম? রক্তের দোষে ভুগছেন? সুগার চড়ছে? একের পর এক রোগ বাঁধিয়ে বসছেন? নিয়মিত মোচা খান। ভিটামিন, আয়রন, মিনারেলস ভরপুর মোচা।
কিন্তু শরীরে যদি রক্তের অভাব দেখা দেয়? বা শরীরের রক্ত পরিষ্কার রাখার উপায় কী? কী সেই ঘরোয়া টোটকা?
সারা বছর বাজারে পাওয়া যায়। হাতের নাগালে এমন ঘরোয়া টোটকার কোনও বিকল্প নেই। কলার মোচা। আয়রনে ভরপুর। রক্তের মূল উপাদান হিমোগ্লোবিন। এই উপাদানকে শক্তিশালী করে মোচা। দেখতে সুন্দর, স্বাদেও অতুলনীয়। মোচার ঘণ্ট, ভর্তা, মোচার কোফতা, মোচার চপ। জিভে জল আনবেই।
মোচার ম্যাজিক:
প্রতি ১০০ গ্রাম মোচায় রয়েছে ১.৭ গ্রাম প্রোটিন, ৩২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৫.১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩২ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১.৬ মিলিগ্রাম লোহা, ০.৭ গ্রাম ফ্যাট, ১৮৫ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ০.২ মিলিগ্রাম রিবোফ্লেবিন, ৪২০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ১.৩ গ্রাম আঁশ, ০.৫ মিলিগ্রাম থায়ামিন।
একাধিক রোগ প্রতিরোধে মোচা তুলনাহীন:
ইনফেকশন কমায়। মরশুম বদলের সময় মোচা খেলে যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
নিয়মিত মোচা খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবেটিস।
মোচার ফাইবার ও আয়রন রক্তাল্পতা কমাতে ও রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
প্রচুর সলিউবল ও ইনসলিউবল ফাইবার থাকায় মোচা হজম ক্ষমতা বাড়ায়। ওজন কমায়। এক্ষেত্রে মোচার স্যালাড ও স্যুপ খাওয়া যেতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন মোচা খেলে স্তনদুগ্ধের পরিমাণ বাড়ে।
মোচার ম্যাগনেসিয়াম অবসাদ, উত্কণ্ঠা কাটাতে সাহায্য করে।
নিয়মিত মোচা খেলে রক্তে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমস্যা কমে। চেহারায় বয়সের ছাপ পড়া রুখে দেয়। মোচা খেলে অ্যালঝাইমার্স ও পারকিনসন্সের ঝুঁকি কমে।
হলুদ, গোলমরিচ গুঁড়ো ও জিরে দিয়ে মোচা সেদ্ধ করে খেলে জরায়ু সুস্থ রাখে।
মোচায় রয়েছে প্রচুর ট্যানিন, ফ্ল্যাভনয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই মোচা খেলে হার্ট থাকে সুস্থ।